ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পরিকল্পিত পর্যটনে নিরাপদ অবকাঠামো প্রয়োজন

প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭

পরিকল্পিত পর্যটন গঠনে নিরাপদ আবাসন ও অবকাঠামো নিশ্চিত প্রয়োজন উল্লেখ করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহম্মদ বলেছেন, ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও ইমারতের নকশা অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই।

কক্সবাজারে বিশ্বমানের পর্যটন গড়তে হলে ইচ্ছেমতো ভবন আর নয়। যেকোনো জমিতে ভবন নির্মাণের পূর্বে কউক’র মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে। অনুমোদনহীন ভবন হলে ইমারত নির্মাণ আইন-১৯৫২ ও ইমারত বিধিমালা- ১৯৯৬ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে। এতে কোনো ছাড় নেই। তাই ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও ইমারতের নকশা অনুমোদনের আনুষ্ঠিাক যাত্রা শুরু করেছে কউক।

সোমবার দুপুরে ‘ইমারত নির্মাণ ও ভূমি উন্নয়ন অনুমোদন কার্যক্রম উদ্বোধন’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কউক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

শহরের বিএমএ ভবনস্থ কউক’র অস্থায়ী কার্যালয় প্রাঙ্গণে সভায় কউক চেয়ারম্যান ফোরকান আহমদ বলেন, এ পর্যন্ত নকশা অনুমোদনের জন্য ২১৭টি আবেদন পড়েছে। সেখানে প্রাথমিক যোগ্য বিবেচিত হওয়া ৪৮টির মধ্য থেকে ১২টির তদন্ত করা হয়েছে। এর অনুমোদন যোগ্য পাওয়া গেছে ৬টি। বাকি আবেদনের সার্ভে চলছে।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আগে সুপারিশ করা ৪৮টি আবেদনের মধ্যে অনেকটাই নীতিমালার মধ্যে পড়েনি। কীভাবে তা হয়েছে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উদয় হয়। এরপরও জন হয়রানি রোধে নিয়মের মধ্যে এনে আবেদন কারীদের সহযোগিতা দেয়া হবে। তবে আইনের বাইরে কিছুই এখানে হবে না।
 
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কউক সদস্য (প্রকৌশল) লে. কর্নেল আনোয়ারুল ইসলাম, কক্সবাজার পৌর মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, কউক সদস্য ডা. সাইফুদ্দিন ফরাজি, প্রকৌশলী বদিউল আলম, কউক সচিব মো. আবদুস সোবহান, কক্সবজার সদর মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. আসলাম হোসেন প্রমুখ।

কউক চেয়ারম্যানের একান্ত সহকারী রাজিবুল হক রিকোর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থাপনা, ভবন নির্মাণ আইন, ইমারত নকশা সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন কউক’র নগর পরিকল্পনাবিদ সরওয়ার কামাল। এতে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।

সায়ীদ আলমগীর/এএম/পিআর