ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্নেডো আঘাতের দুই বছর

প্রকাশিত: ০৪:১২ এএম, ২২ মার্চ ২০১৫

আজ ২২ মার্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিনটি উপজেলার ১৫টি গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রলয়ঙ্করি টর্নেডোর দুই বছর। ২০১১ সালের আজকের এই দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল, উরশিউরা, জারুইলতলা, ভাতশালা, চিনাইর, চান্দি, ফুলবাড়িয়া, বাসুদেব ও বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল এবং আখাউড়া উপজেলার আমোদাবাদসহ অন্তত ১৫টি গ্রামের উপর আপর আঘাত হানে ভয়াল সেই টর্নেডো। টর্নেডোতে অন্তত ৩৬ জন প্রাণ হারান, আহত হন ৫ শতাধিকেরও বেশি মানুষ। ভয়াল সেই টর্নেডোর স্মৃতি মনে করে এখনো আতকে উঠেন অনেকে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীরা জানান, ২০১৩ সালের ২২ মার্চ বিকেল চারটার দিকে সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পরই প্রলয়ঙ্করির টর্নেডো সদর উপজেলা, বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রামে আঘাত হানে। ১৫ মিনিট স্থায়ী এই টর্নেডোতে অন্তত ৩৬ জন নিহত হন, আহত হন ৫ শতাধিকেরও বেশি মানুষ। পাশাপাশি ফসলি জমি, গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুটি, টিউবওয়েল ও রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়।

ঘটনার পর পরই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা হতাহতদের উদ্ধার কাজ শুরু করে। এছাড়া কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে জিওসি মেজর জেনারেল জাহিদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও বিজিবির একটি মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

 এ ঘটনার পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে এলাকা পরিদর্শন করে নিহতের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়া তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদও টর্নেডো কবলিত এলাকা পরিদর্শন ক্ষতিগ্রস্তদের মাছে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

তবে গত দুই বছরে সরকারি ও বেসরকারি নানা সাহায্য-সহযোগীতায় এখন অনেকটা ঘুরে দাড়িয়েছেন এইসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষরা। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রায় ৫ শতাধিক ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৩ হাজার বান্ডেল ঢেউটিন বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারিভাবেও প্রায় ২ হাজার বান্ডেল ঢেউটিন ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, সরকারে পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সবধরণের সহযোগিতা করা হয়েছিল বলেই ক্ষতিগ্রস্তরা অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে ৫ শতাধিক ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে, আরও  ২শ’ ঘর নির্মাণ করা হবে বলেও তিনি জানান।

এসএইচএ/এমএস