সেই শের আলী পাচ্ছেন পিপিএম পদক
সড়ক দুর্ঘটনাকবলিত শিশুকে বাঁচানোর আকুতি নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়া সেই পুলিশ কনস্টেবল শের আলী রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকের (পিপিএম) জন্য মনোনীত হয়েছেন।
আগামী ২৩ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পুলিশ সপ্তাহে কনস্টেবল শের আলীর হাতে পিপিএম তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দুর্ঘটনাকবলিত একটি শিশুকে বাঁচানোর আকুতি নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন পুলিশ কনস্টেবল শের আলী। সেই কনস্টেবলই পিপিএম পদকে মনোনীত হয়েছেন।
একইসঙ্গে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে সাহসী অভিযানের স্বীকৃতি পাচ্ছেন সিএমপি কমিশনার মো. ইকবাল বাহারও। তিনিও বাংলাদেশ পুলিশ মেডেলের (বিপিএম) জন্য মনোনীত হয়েছেন।
গতকাল রোববার এ সংক্রান্ত একটি তালিকা সিএমপিতে এসে পৌঁছেছে বলে জানান সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ-উল-হাসান।
তিনি বলেন, সিএমপি থেকে কমিশনার স্যারসহ চারজন বিপিএম-পিপিএম’র জন্য মনোনীত হয়েছেন। গোয়েন্দা শাখার কনস্টেবল শের আলীর পাশাপাশি নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন, কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি জসীম উদ্দিন ও গোয়েন্দা শাখার আরেক কনস্টেবল হৃদয় মাহমুদ শিকদার পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
পিপিএম (সেবা) পদকের জন্য মনোনীত হওয়া কনস্টেবল শের আলী বলেন, কোনো পুরস্কারের আশায় আমি শিশুটিকে বাঁচাইনি। আমি সামান্য পুলিশ সদস্য। দায়িত্ববোধ থেকে করা একটি কাজের জন্য আমি পুরস্কার পাচ্ছি। এটা আমার জন্য গর্বের বিষয়। আমার খুব ভালো লাগছে।
এছাড়া চট্টগ্রামে র্যাবও পাচ্ছে তিনটি পদক। জঙ্গি দমনে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করে র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন, সিনিয়র এএসপি শাহেদা সুলতানা এবং সিপাহি হাশিম আলীও বিপিএম-পিপিএম পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা শাহেদা সুলতানা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর শের আলীকে পিপিএম পদক দেয়ার জন্য সুপারিশ করে সদর দফতরে চিঠি দেন সিএমপি কমিশনার।
পুলিশ কনস্টেবল শের আলী চট্টগ্রাম নগর পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিটের উত্তর-দক্ষিণ বিভাগে একটি ইউনিটে কর্মরত আছেন। তার কনস্টেবল নম্বর ২৫৪৬।
গত ডিসেম্বরে দুর্ঘটনাকবলিত এক শিশুকে বাঁচাতে কান্নারত একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর আলোচনায় আসেন কনস্টেবল শের আলী। তাকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রসঙ্গত, ১১ ডিসেম্বর দুপুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রামু উপজেলার পানিরছড়া এলাকায় শের আলীর বাড়ির কাছাকাছি একটি বাস উল্টে নিহত হন চারজন।
একই দুর্ঘটনায় আহত হন কমপক্ষে ২৩ জন। এ সময় তিনি বাঁচার জন্য আর্তনাদরত একটি পাঁচ বছরের শিশুকে বাসের ভেতর থেকে বের করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। শিশুটিকে কোলে নিয়ে তার কান্নার ছবি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। সঙ্গে সঙ্গে ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়।
এএম/এমএএস/জেআইএম