খুলনায় হচ্ছে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অফিস
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, খুলনায় সহকারী হাইকমিশন অফিস খোলা হবে। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ অফিস খোলা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
ভারতীয় ভিসা সহজীকরণের লক্ষ্যে সহকারী হাইকমিশনের এ অফিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, খুলনা ইতোমধ্যে পাট ও চিংড়ি শিল্প এবং জাহাজ নির্মাণের জন্য বিশেষভাবে সমৃদ্ধ। মংলা বন্দরের মাধ্যমে এ সকল পণ্য ভারতীয় বাজারে প্রবেশ সহজ হবে।
হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, খুলনা কোলকাতার কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় ভারতের অর্থনীতি ও সংস্কৃতির সঙ্গে এ অঞ্চলের মিল রয়েছে। এখানে রামপাল তাপবিদুৎকেন্দ্র, এয়ারপোর্ট, মোংলাপোর্ট, রেলযোগাযোগে অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভারত সহযোগী বন্ধু। গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি বাণিজ্য দিনে দিনে বেড়েছে। ডিউটি ফ্রি এবং কোটা ফ্রি অনেক পণ্য ভারতে প্রবেশ করতে পারছে। ২০১৫-১৬ সালে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য মোট ৬ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়।
চেম্বার অব কমার্সের সভাপতির আহ্বানের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর যাতে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে তার প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বেনাপোল বন্দরসহ ভারতের সঙ্গে অন্যান্য স্থলবন্দরগুলোকেও সমান সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। তাহলে ট্যুরিজম, মেডিকেল, শপিংসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ উভয় দেশে সহজে ও নিরাপদে আসা-যাওয়া করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, খুলনা চেম্বারের সভাপতি কাজি আমিনুল হক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল মো. আহ্সানুল হক মিয়া, পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি এবং জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানসহ ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব অরুন্ধতি দাস, প্রথম সচিব (রেলওয়ে অ্যাডভাইজার) দিব্যাঞ্জন রায় প্রমুখ।
আলমগীর হান্নান/এএম/এমএস