ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বিলুপ্তির পথে সিনেমা হল

প্রকাশিত: ০৬:৫১ এএম, ০৫ জানুয়ারি ২০১৭

শরীয়তপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও হাট-বাজারে বিভিন্ন সময় গড়ে ওঠা সিনেমা হলগুলো বিলুপ্তির পথে। জেলায় আশি ও নব্বয়ের দশকে ১৪টি সিনেমা হল গড়ে ওঠে। কিন্তু বর্তমানে টিকে আসে মাত্র ২টি সিনেমা হল।

সদরের রুমা, ডামুড্যায় মিতালী ও লতা, গোসাইরহাটে পদ্মা, ভেদরগঞ্জে অলংকার, রুপা ও পদ্মা, নড়িয়ায় বাসরী, বৈশাখী ও উত্তম, জাজিরায় রাজিয়া ও রুপালী সিনেমা হলগুলো বিভিন্ন সময় গড়ে ওঠে। উপজেলাগুলোতে গড়ে ওঠা এসব সিনেমা হলগুলোই ছিল চিত্তবিনোদনের একমাত্র মাধ্যম।

একসময় সাধারণ মানুষ সিনেমা দেখতে দলবেধে সিনেমা হলগুলোতে যেতেন। কিন্তু বর্তমানে দর্শকের অভাবে লোকসান গুনে হলগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন মালিক কর্তৃপক্ষ।

তবে এগুলোর মধ্যে জেলার জাজিরা উপজেলার জ্যোতি সিনেমা হল ও সদর উপজেলার পালং উত্তর বাজারে অবস্থিত আলোছায়া সিনেমা হল দুটো কোনোরকমে টিকে আছে।

2016October
 
প্রবীন দর্শক অনিল কুন্ডু বলেন, এক সময় বিশেষ করে ষাট কিংবা সত্তরের দশকে পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে যেতাম। বর্তমানে ঘরে বসেই টেলিভিশনে বিভিন্ন ধরনের সিনেমা দেখতে পাই। কখনো কখনো ছেলে-মেয়েরা মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও সামাজিক ছবি দেখে থাকে। ফলে এখন আর সিনেমা হলে যাওয়া হয় না।

শিক্ষিকা নাসিমা বেগম বলেন, এক সময় দলবেধে সিনেমা হলে যেতাম। কিন্তু বর্তমানে পরিবেশ না থাকায় এবং ডিস লাইন ও ইন্টারনেটের বদৌলতে ঘরে বসেই বিনোদনের সকল উপাদান পেয়ে থাকি। তাই এখন আর সিনেমা হলে যাওয়া হয় না।

শরীয়তপুর সদর উপজেলার আলোছায়া সিনেমা হলের ব্যবস্থাপক মো. সিরাজুল ইসলাম কোতোয়াল বলেন, বর্তমানে সিনেমা হলে দর্শক নেই বললেই চলে। প্রতি মাসে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। সরকার যদি ডিস চ্যানেল কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করে একটি সুস্থ ধারা তৈরি করে তাহলে সিনেমা হলগুলোতে দর্শক বাড়বে এবং আমরা টিকে থাকতে পারবো।

2016October

শরীয়তপুর সদর উপজেলার আলোছায়া সিনেমা হলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবুল খায়ের মাঝি বলেন, ১৯৫০ সাল থেকে আলোছায়া সিনেমা হলটি যাত্রা শুরু করে। এক সময় এই হলে প্রচুর দর্শক ছিল।

বর্তমানে দর্শক না থাকায় এবং ডিস কালচারের কারণে আমরা সিনেমা হল মালিকগণ ক্ষতির সম্মুখীন। এভাবে চলতে থাকলে হল বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো পথ থাকবে না।

ছগির হোসেন/এফএ/জেআইএম