সীমান্তে মাদক চোরাচালান কমেছে
ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী ৪ উপজেলায় মাদক চোরাচালান কমেছে। দাবি সীমান্ত এলাকার মানুষের। এদিকে গত কয়েক মাসে ঠাকুরগাঁও ৩০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন অব্যাহত অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ফেন্সিডিল ও চোরাচালানের সাথে জড়িতদের আটক করেছে। এতে করে এসব উপজেলার সীমান্তে মাদক চোরাচালান কমেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সীমান্ত ঘেঁষা এলাকা হওয়ায় এ উপজেলায় তেমন কোনো হালকা বা ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। তাই সীমান্তবর্তী এলাকার বেশিরভাগ মানুষ ছোট-বড় মাদকসহ বিভিন্ন চোরাচালানের সাথে সহজেই জড়িয়ে পড়ে। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে মাদকসহ বিভিন্ন পণ্য চোরাই পথে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। চোরাই পথে ভারতে প্রবেশের সময় অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। তারপরেও চোরাচালান কমেনি। কিন্তু, গত কয়েক মাসে ৩০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়েনের অব্যাহত অভিযানে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাচালান কমেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
মলানী সীমান্ত এলাকার সাদেকুল ইসলাম জানান, এই সীমান্ত দিয়ে প্রচুর পরিমাণে মাদক চোরাচালান হয়। কিন্তু, কিছুদিন ধরে বিজিবি’র তৎপরতায় মাদক ব্যবাসায়ীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
নাগর ভিটা সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা ইসরাফিল আলম জানান, সীমান্তে মাদক বৃদ্ধির কারণে এলাকার যুব সমাজ নষ্টের দিকে চলে যাচ্ছে। মাদক চোরাচালান রোধে বিজিবি’র অভিযান অব্যাহত থাকলে এলাকার মাদক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম জানান, মাদকের মরণ নেশা থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে হবে। সেজন্য সীমান্ত এলাকায় গণ সচেতনতামূলক সভা সেমিনার করা হচ্ছে। বিজিবি’র এ রকম অভিযান অব্যাহত থাকলে সীমান্ত এলাকাগুলো একদিন মাদক মুক্ত হবে।
এ ব্যাপারে ৩০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল তুষার বিন ইউনুস জানান, মাদকসহ বিভিন্ন চোরাচালান রোধে বিজিবি তৎপর। মাদক চোরাচালান না করার জন্য বিভিন্ন এলাকায় সভা-সেমিনার করা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য বিজিবি একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকার মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে।
এমএএস/পিআর