ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

উপকূলীয় ৩ হাজার কিলোমিটার নৌপথে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৫

উপকূলীয় ৩ হাজার কিলোমিটার নৌপথে আগামীকাল রোববার ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৭ মাসের জন্য বিপদজনক মৌসুম শুরু হচ্ছে।

এই ৭ মাসে নির্ধারিত ৩ হাজার কিলোমিটার নৌপথে বে-ক্রসিং সনদ (সমুদ্রে চলাচল যোগ্য নৌযান) ব্যতিত অন্য কোনো নৌযান চলতে পারবেনা। এসময়ে উপকূলীয় যাত্রীদের জন্য বিকল্প নৌযান হিসেবে বিআইডব্লিউটিসির সি-ট্রাক চলাচল করবে।

ঝুকিপূর্ণ নৌপথের মধ্যে বৃহত্তর বরিশালে ৪টি উপকূলীয় রুট রয়েছে। এরমধ্যে অতি ঝুকিপূর্ণ দ্বীপজেলা ভোলার শশীগঞ্জ-মনপুরা এবং ভোলার মীর্জাকালু-নোয়াখালীর চর আলেকজেন্ডার রুটের সি-ট্রাক চালু হচ্ছেনা।

সি-ট্রাক অচল হওয়ার কারণে এ দুটি রুটের যাত্রীদের আগমীকাল থেকে বিপদজনক মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঝুকিপূর্ণ নৌযানে চলাচল করতে হবে।

বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ পরিচালক আবুল বাশার মজুমদার জানান, সাগর ও মেঘনা নদীর মোহনার উপকূলীয় ৩ হাজার কিলোমিটার নৌপথে প্রতিবছর ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিপদ মৌসুম ঘোষণা করা হয়।

বৃহত্তর বরিশালে উপকূলীয় নৌপথ হচ্ছে বরিশাল-লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীর হাট, ভোলার ইলিশা-মজু চৌধুরীর হাট, ভোলার মীর্জাকালু-নোয়াখালীর চর আলেকজেন্ডার, ভোলার মনপুরা-শশীগঞ্জ রুট। এ রুটগুলোতে বে-ক্রসিং সনদ ব্যতিত অন্য কোনো নৌযান চলাচল করতে পারবেনা।

বরিশালে বিআইডব্লিউটিসির সি-ট্রাক ব্যতিত অন্য কোনো নৌযানের বে-ক্রসিং সনদ নেই। উপকূলীয় নৌপথে বে-ক্রসিং সনদ ব্যতিত অন্য সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করার জন্য নৌযান মালিকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে গত ৫ মার্চ চিঠি দেওয়া হয়েছে। এদিকে উপকূলীয় ৪টি নৌপথে গত অক্টোবর থেকে সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে।

বিআইডব্লিউটিসি বরিশালের উপ মহাব্যবস্থাপক গোপাল মজুমদার বলেন, বরিশাল-মজু চৌধুরীর হাট রুটে খিজির-৫ এবং ইলিশা মজু চৌধুরীর হাট রুটে খিজির-৭ আগামীকাল রোববার থেকে চলাচল শুরু করবে।

শশীগঞ্জ-মনপুরা রুটের সি-ট্রাক শহীদ শেখ মনি বরিশালে রয়েছে। এ জাহাজটি চট্টগ্রাম-হাতিয়া রুটে চলাচলের জন্য রোববার হাতিয়া পাঠানো হাচ্ছে। কিন্ত, শশীগঞ্জ-মনপুরা রুটের জন্য বিকল্প নৌযান পাঠানোর সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।

আলেকজেন্ডার-মীর্জাকালু রুটের সি-ট্রাক শহীদ শেখ জামাল নারায়ণগঞ্জ ডর্কইয়ার্ডে রয়েছে। এ রুটটি আদৌ চালু হবে কিনা এ ব্যাপারেও এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি বিআইডব্লিউটিসির কেন্দ্রীয় দপ্তর। গোপাল মজুমদার জানান, গত বছরও ঝুকিপূর্ণ মৌসুমে মীর্জাকালু-আলেকজেন্ডার রুট বন্ধ ছিল।

এমএএস/পিআর