রাসিকে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ
রাজশাহী মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বছরের প্রথম দিন থেকেই বন্ধ করা হয় এ যানবাহন।
রোববার সকাল থেকে নগরীর কয়েকটি পয়েন্টে এ নিয়ে অভিযানও চালায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) কর্তৃপক্ষ। ফলে বর্তমানে অটোরিকশামুক্ত শহর। এতে তুলনামূলকভাবে কমে গেছে যানজট।
এর আগে কয়েকদিন ধরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে মাইকিং করে আসছিল রাসিক। এনিয়ে স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়। গত সেপ্টেম্বরে রাসিকের সাধারণ সভায় ব্যাটারিচালিত রিকশার নিবন্ধন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে, হঠাৎ করে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে বেকায়দায় পড়েছেন এর চালক ও মালিকরা। বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে রাস্তায় এসব রিকশা নামিয়েছেন তারা। প্রতিদিনের আয় থেকে পরিশোধ হতো চড়া সুদের এসব ঋণ। রিকশা তুলে দেয়ায় এখন চরম সংকটে পড়েছেন এসব লগ্নিকারী।
চালক-মালিকরা জানিয়েছেন, রাজশাহী শহরে প্রতিদিন চলাচল করতো এমন ১০ হাজারের ওপরে রিকশা। এর একটি বড় অংশ রাসিকের চলতো অবৈধভাবে। কতগুলো হয়েছিল ক্লোন। রাসিকের কর্মীরা ভুয়া নিবন্ধন নম্বর দিয়ে মালিক-চালকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
তবে রাসিক জানিয়েছে, দুর্ঘটনা বন্ধে নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। নগরীতে ৫ হাজারের বেশি দুই আসনের এসব রিকশা চলাচল করতো। এরই মধ্যে সব রিকশারই নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। এর আগে মালিক-চালকদের অনুরোধে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিল রাসিক।
এ বিষয়ে রাসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিযাম উল আযীম বলেন, নগরীর যানজট ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এসব রিকশা তুলে দেয়া হয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাও তুলে দেয়া হবে। এরই অংশ হিসেবে দুই হাজার অটোরিকশার নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। রাস্তায় থাকা সাড়ে ৬ হাজার অটোরিকশাও তুলে দেয়া হবে পর্যায়ক্রমে।
তিনি আরো বলেন, আগের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের পর ব্যাটারিচালিত দুই আসন বিশিষ্ট কোনো রিকশা চালানো যাবে না। কোনো মালিক বা চালক এ আদেশ অমান্য করলে রিকশা আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাত্রী নিরাপত্তা ও যানজট মাথায় রেখে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তা চান দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এআরএ/জেআইএম