আ. লীগ নেতাকে গুলির ঘটনায় মামলা হয়নি
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডনকে গুলির ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এখনো কোনো মামলা হয়নি।
শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে খুলনা মহানগরীর দোলখোলা মোড়ের সামনে শিতলাবাড়ী মন্দিরের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে শিপ্রা রানী কুণ্ডু (৫০) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।
শিপ্রা রানী শিল্প ব্যাংক খুলনা শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার চিত্তরঞ্জন কুণ্ডুর স্ত্রী। ঘটনার প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ।
জেড এ মাহমুদ ডন তাৎক্ষণিক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমি প্রতিদিন সকালে হাঁটাহাটি করি। এলাকার মানুষের খোঁজখবর নেই। প্রতিদিনের মতো শনিবার সকাল ৯টায় দোলখোলা মোড়ে যাই। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নাস্তা করার জন্য মোটরসাইকেল চালক ইব্রাহিমের পেছনে বসে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিই।
শীতলাবাড়ি মন্দিরের সামনে পৌঁছালে এলাকার সেলিম ওরফে সেইল্যা একটি সমস্যা নিয়ে কথা বলার জন্য দাঁড় করায়। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলযোগে মুখোশধারীরা আমাকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। আমি মোটরসাইকেল থেকে মাটিতে পড়ে যাই। ওই সময় শিপ্রা রানী কুণ্ডুর গায়ে গুলি লাগে। তাকে প্রথমে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুমেকে স্থানান্তর করা হয়। অপারেশন থিয়েটারে তার মৃত্যু হয়।
কারা গুলি করেছে জানতে চাইলে ডন বলেন, এলাকার চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ীরা এ কাজ করেছে। মুখোশ পরা থাকায় কাউকে চিনতে পারিনি।
খুুলনা সদর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সন্ত্রাসীদের আটকের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থল থেকে পিস্তলের দুটি গুলির খোসা ও রক্তমাখা পলিথিনসহ বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে।
ওসি বলেন, বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা করা হলে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আলমগীর হান্নান/এএম/আরআইপি