ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ববিজান পেলেন বয়স্ক ভাতার কার্ড

প্রকাশিত: ০৭:৫০ এএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬

দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কম এ সংবাদ প্রকাশের পর বীরাঙ্গনা ববিজানের পাশে দাঁড়ালেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুম আহমেদ।

স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের শিকার বীরাঙ্গনা ববিজান বেগমকে বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয়া হয়েছে।

বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম আহমেদ তার হাতে বয়স্ক ভাতার কার্ড তুলে দেন।

এসময় মির্জাপুর পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম সুশান্ত কুমার রায়, সমজসেবা কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান খান ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আহসান হাসিব খান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান ববিজান’ শিরোনামে জাগোনিউজ২৪.কম এ সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সংবাদটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম আহমেদের নজরে আসে। পরে তিনি ববিজানের খোঁজ খবর নেন এবং একটি কম্বল ও একটি চাদর পৌঁছে দেন।

ববিজান বেগম উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আরাদন আলীর মেয়ে।

ববিজান বেগম জানান, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকবাহিনী একদিন তাদের গ্রামে ঢুকে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বিএসসিসহ আরো কয়েকজনের বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। ওই দিনই পাক বাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে তাকেসহ আরও কয়েকজন নারীকে গণধর্ষণ করে।

ধর্ষিতা হওয়ার কারণে স্বামীর সংসার ছাড়তে হয় তাকে। বর্তমানে বন বিভাগের জমিতে ঘর তুলে বসবাস করছেন তিনি। বয়স হওয়ায় এখন কানেও কম শোনেন এবং স্মৃতিশক্তিও কমে গেছে বলে জানান তিনি।

স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও বীরাঙ্গনা ববিজান মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। এছাড়া বয়স্ক বা বিধবা ভাতা বা সরকারি কোনো সযোগ-সুবিধাও দেয়া হয়নি তাকে। কাজ করতে না পারায় খেয়ে না খেয়ে অতি কষ্টে দিন কাটছে বৃদ্ধা বীরাঙ্গনা ববিজানের দিন।

ববিজান বেগম বয়স্ক ভাতার কার্ড পওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, কেউ কোনো দিন আমার খোঁজ খবর নেয়নি। সাংবাদিকরা কাগজে লেখার পর এখন অনেকেই খোঁজ খবর নিচ্ছে। তাছাড়া ইউএনও স্যার আমাকে একটি কম্বল ও একটি চাঁদরও দিয়েছেন।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম আহমেদ বলেন, প্রতিবেদনটি পড়ে ববিজান বেগম সম্পর্কে জানতে পেরেছি। পরে তাকে একটি কম্বল ও একটি চাঁদর দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বয়স্ক ভাতার কার্ডও করে দেয়া হয়েছে তাকে। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি উল্লে­খ করেন।

এসএম এরশাদ/এফএ/আরআইপি