চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে হামলা, আটক ৪
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক পুলিশসহ চার সাংবাদিক আহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- অজয় দত্ত (২০), নয়ন সরকার (২১), পিয়াল শর্মা (২০) ও অনুভব মজুমদার (২১)।
ঐক্যবদ্ধ সনাতন সমাজ, বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনের মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের ওপর এ হামলা চালানো হয়। চট্টগ্রাম
প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরোয়ার হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলাকারীদের নিবৃত করতে গিয়ে কোতয়ালী থানার এসআই বিকাশ চন্দ্র শীলও মাথায় আঘাত পেয়েছেন।
কলিম সরোয়ার জানান, মঙ্গলবার বিকেলে প্রেসক্লাব ভবনের প্রধান ফটক এবং সামনের সড়ক অবরুদ্ধ করে মানববন্ধন করছিল ঐক্যবদ্ধ সনাতন সমাজ। এসময় সাংবাদিকরা প্রেসক্লাব ফটক ও সড়ক বন্ধ না করার অনুরোধ করলে তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা শুরু করে। সাংবাদিকের গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন দেয়ার চেষ্টা চালায় তারা।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। ইতোমধ্যে চারজনকে আটক করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বাকিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। হামলায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করা হবে। হামলাকারী যুবকরা প্রেসক্লাবের দোতলায় উঠে আসে।
সেসময় বারবার তাদের থামতে বললেও তারা আমাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করে। হামলাকারীরা বাংলানিউজের ফটো সাংবাদিক উজ্জ্বল ধর এবং রিপোর্টার রমেন দাশগুপ্তকে প্রেসক্লাব থেকে নামিয়ে দেয়ার জন্য চিৎকার করতে থাকে। ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলাম রাস্তা থেকে প্রেসক্লাবে ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ হামলা চালায়।
এ ঘটনায় হামলাকারীদের হাতে লাঞ্চিত হন বাংলানিউজের ফটো সাংবাদিক উজ্জ্বল ধর, ডেইলি স্টারের অনুরূপ টিটু ও সুপ্রভাত বাংলাদেশের হেলাল উদ্দিন সিকদার এবং বাংলানিউজের বিশেষ প্রতিনিধি রমেন দাশগুপ্ত।
পরে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সিএমপি কমিশনার মো. ইকবাল বাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহযোগিতা চাওয়া হয়। সিএমপি কমিশনারের নির্দেশে নগর পুলিশের উপকমিশনারের (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেনের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ এসে তাদের ধাওয়া দেয়।
জীবন মুছা/বিএ