ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

আদালত থেকে পালিয়ে গেল ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৩ জন

প্রকাশিত: ০১:৫৮ পিএম, ০১ মার্চ ২০১৫

নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে এসে পুলিশ হেফাজত থেকে তিন আসামি পালিয়ে গেছে। প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলার হাজিরা দিতে এসে রোববার দুপুর ১টার দিকে পালিয়ে যান তারা।

পলাতক তিন আসামি হলেন, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের বড়াইগ্রাম উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হেলেনা বেগম, নওগাঁ জেলার মান্দা থানার শ্রীরামপুর গ্রামের মুস্তাকিন সরদার ও তার ছেলে মোহাম্মদ রতন।

এদিকে, আদালতের বিচারক নাদিরা বেগম এ ঘটনায় আসামি পক্ষের আইনজীবীকে সতর্ক করে পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এছাড়া আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিদেন দাখিলের আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, বাদী নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার বেলগাছি গ্রামের ছলিমুদ্দিন খানের ছেলে ইয়াহিয়া খান তার ভাগ্নি তানিয়া খাতুনকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য আসামিদের ১২ লাখ ৯১ হাজার টাকা দেন। আসামিরা ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত কয়েক দফায় এ টাকা গ্রহণ করে। ভর্তি করাতে না পারলে টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করেন তারা। পরে ভর্তি করাতে ব্যর্থ হলেও টাকা ফেরত না দেয়ায় ইয়াহিয়া খান ওই তিন জনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি মামলা করেন। রোববার (১ মার্চ) ওই মামলার হাজিরার তারিখ ছিল।

রোববার দুপুরে আসামি হেলেনা খাতুন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। এ সময় অপর দুই আসামি জামিনের আবেদন না করে সরাসরি এজলাসে উঠেন। আদালত তাদের জামিনের আবেদন করা না পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এরই মধ্যে আসামিরা কৌশলে পালিয়ে যায় ।

পরে পুনরায় মামলার ডাক পড়লে আইনজীবী আদালতকে আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানালে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

বাদীর আইনজীবী দীনেশ চন্দ্র মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামিরা আদালত থেকে পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

এমএএস/আরআই