আবারো রোহিঙ্গা বোঝাই ৬ নৌকা ফেরত
কক্সবাজার সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে ৬টি নৌকাসহ দেড় শতাধিক রোহিঙ্গাকে স্বদেশে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হয়।
এসময় রোহিঙ্গাদের সহায়তার দায়ে টেকনাফের মোহাম্মদ আমিন (৩০), মোহাম্মদ ইব্রাহিম (৩২), মোহাম্মদ সেলিম (২০) ও উসমান (১৬) নামে চার দালালকে আটক করে উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
কক্সবাজার-৩৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, নাফ নদী পাড়ি দিয়ে অনুপ্রবেশকালে পালংখালী বিওপি এবং রেজুখাল যৌথ চেকপোস্টে দায়িত্বরতরা ৭৩ রোহিঙ্গাকে আটকের পর আবারো ফেরত পাঠিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত পালংখালী ও রেজু খাল বিওপি যৌথ চেকপোস্ট এসব রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়। তাদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ, ২৪ জন নারী ও ৩৩ জন শিশু ছিল।
এসময় রোহিঙ্গাদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হতে সহযোগিতার দায়ে বিজিবি চার দালালকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে।
তিনি আরো জানান, ১ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৪৯৩ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবির তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অপরদিকে টেকনাফ উপজেলার চারটি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা বোঝাই ৬টি নৌকা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে প্রতিহত করেছেন বিজিবির সদস্যরা।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল ছিদ্দিকি বলেন, মঙ্গলবার ভোরে নাফ নদীর চারটি পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে রোহিঙ্গা বোঝাই ৬টি নৌকা প্রতিহত করা হয়েছে। এতে তারা বাংলাদেশে ঢুকতে না পেরে মিয়ানমারে ফেরত যায়। সীমান্তজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে মিয়ানমারে অমানবিক নির্যাতন সইতে না পেরে কড়া নজরদারির মধ্যেও সীমান্ত দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।
ফলে গত ৯ অক্টোবর থেকে স্থল ও জলসীমান্ত দিয়ে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন মাধ্যম।
উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের দালাল আটকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটকদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/এআরএ/এমএস