ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কুমিল্ল­ায় হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি

প্রকাশিত: ১২:১৯ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

প্রবাসী তোফাজ্জল হোসেনকে (৩৫) খুন করার ঘটনায় ১৪ বছর পর ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেছেন কুমিল্লার একটি আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক চমন চৌধুরী এ রায় প্রদান করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জেলার আদর্শ সদর উপজেলার যশপুর গ্রামের মৃত. আলী নেওয়াজের ছেলে মো. আবু তাহের (৫০), মো. নোয়াব আলীর ছেলে মো. আবদুস ছালাম ওরফে লিটন (৩০) ও মৃত. মনোহর আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম জহির (৪২)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আদর্শ সদর উপজেলার যশপুর গ্রামের মো. বাহার ওরফে রোজেন (৩১), মো. মিজানুর রহমান, নগরীর ভাটপাড়া এলাকার মো. আরিফুজ্জামান ওরফে ইমন (৩৫) ও আদর্শ সদর উপজেলার সীমান্তপুর গ্রামের মো. আবদুল মান্নান। এরা সবাই পলাতক রয়েছে।  

আদালত সূত্র জানায়, ২০০০ সালের পহেলা অক্টোবর রাতে ১২/১৩ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার যশপুর গ্রামের প্রবাস ফেরত তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে প্রবেশ করে ডাকাতি করে। এসময় বাধা দিলে বাড়ির মালিক তোফাজ্জল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনার পরদিন (২ অক্টোবর) তোফাজ্জল হোসেনের জেঠাতো ভাই মো. হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১২/১৩ জনকে আসামি করে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর একই গ্রামের মো. নোয়াব আলীর ছেলে মো. আবু ছালাম ওরফে লিটনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই জহিরুল ইসলাম,পরে এসআই জহির এ ঘটনার সাথে লিটন জড়িত নেই বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। বাদী ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজী দিলে আদালত মামলার অধিকতর তদন্তের জন্যে মামলাটি সিআইডি কুমিল্লাতে প্রেরণ করেন।

পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক মো. সিরাজুল হক ২০/২৫ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০৪ সনের ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় ১৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং অপর ৫ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্তি পি.পি অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন- অ্যাডভোকেট ফারুক আহম্মেদ ও অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম।

এমএএস/পিআর