ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

তারেকের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষ : পুলিশের লাঠিচার্জ

প্রকাশিত: ১১:৩৯ এএম, ২০ নভেম্বর ২০১৬

বগুড়ায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫২তম জন্মদিন পালন করতে গিয়ে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রোববার দুপুরে শহরের নবাববাড়ি সড়কে দলীয় কার্যালয়ের পাশে সড়কে কেক কাটার অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেক কাটা অনুষ্ঠান বাতিল করে কার্যালয়ের ভেতরে গিয়ে কোনো রকমে জন্মদিনের কেক কাটা হয়।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম বলেন, কোনো সংঘর্ষ কিংবা হট্টগোল হয়নি। আসলে অতিরিক্ত মানুষের ভিড়ে ও চাপে কেক রাখার জন্য ব্যবহৃত টেবিলের পা ভেঙে যায়। এ ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে কেক কাটা অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে।

কেককাটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্তত ১০ জনেরও বেশি নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলের সিনিয়র নেতাদের সামনেই জেলা বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ রানার কর্মীদের সাথে যুগ্ম সম্পাদক পরিমল কুমারের কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। মাসুদ ও পরিমল সম্প্রতি নাশকতা মামলায় জামিন পেয়ে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে শোডাউন করতে তারা অনুষ্ঠান শুরুর আগে কর্মী বাহিনী নিয়ে মিছিল করে জেলা বিএনপির অফিসে আসে। সেখানে তাদের সামনেই এ ঘটনা ঘটে।

bogra

ঘটনাস্থলে উপস্থিত বেশ কয়েকজন নেতা জানান, কিছু জুনিয়র কর্মী টেবিলের সামনে এসে ফটোসেশনে অংশ নিতে চায়। এই নিয়ে বিরোধেই সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে ভাঙচুর শুরু হলে জন্মদিনের জন্য তৈরি কেকটি কোনো রকমে দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে, দলের সিনিয়র নেতাদের সামনে এ ঘটনা ঘটলেও হামলার ভয়ে কেউ হট্টগোল থামাতে যাননি। যার কারণে কর্তব্যরত পুলিশ বিশৃঙ্খলাকারীদের লাঠিপেটা করে নিবৃত করে। পরে দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে কেক কেটে কার্যালয় ত্যাগ করেন সিনিয়র নেতারা।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার, সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজার রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা আলী মুকুল, দলের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন চাঁন, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শাহে আলমসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বগুড়া সদর ফাঁড়ির টিএসআই ফজলে এলাহি বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে পরিমল ও মাসুদের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে  পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। এটা না করলে সেখানে রক্তপাতের সম্ভাবনা ছিল।

লিমন বাসার/আরএআর/পিআর