ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রাজাকার মান্নানের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট : এলাকাবাসীর উল্লাস

প্রকাশিত: ০২:৫৭ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার রাজাকার কমান্ডার গাজী মান্নানসহ তিন রাজাকারের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হওয়ায় উল্লাস করেছে এলাকাবাসী।

রোববার করিমগঞ্জের রাজাকার কমান্ডার কথিত গাজী মান্নানের নামে ওয়ারেন্ট’র খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা করিমগঞ্জে এ উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি টক অব দা টাউনে পরিণত হয়। এলাকাবাসী কথিত গাজী মান্নানের বিচার চেয়ে ১৯৭১ সালের নানা হত্যাকাণ্ডের  প্রতিবাদ ও ঘৃণা প্রকাশ করেন।

জানা যায়, গাজী মান্নান ১৯৭১ সালে করিমগঞ্জের নোয়াবাদের কালিপুরের আবু বকর সিদ্দিককে নিজে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। নিহত আবু বকর ছিল গাজী মান্নানের একান্ত বন্ধু। একজন বন্ধুকে হত্যা করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তার ক্ষমতা। এ কারণেই তিনি গাজী উপাধি নিয়ে দম্ভ নিয়ে চলাফেরা করতেন।  তাছাড়া তিনি করিমগঞ্জের সোয়াবাদের মোলামখারচর এলাকার রূপালী নামের আরেক জন ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেন। ঘুনাপাড়া গ্রামে বাড়ি ঘরে আগুন  জালিয়ে পুড়িয়ে দেন। জাফরাবাদ এলাকায়ও আগুন  জ্বালিয়ে ঘর-বাড়ি পুড়ে দেয় এবং ব্যাপক  লুটপাট চালায়। একের পর এক করিমগঞ্জ উপজেলার সকল হত্যাকাণ্ডের মূল নের্তৃত্বে ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে করিমগঞ্জ থানার রাজাকার কমান্ডারের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। সে সময়ের সাব কমান্ডার এ.টি.এম নাসির উদ্দিন ও শামসুদ্দিনকে সাথে নিয়ে উপজেলার আয়লা, বিদ্যানগর, বাহাদুরপুর, রামনগর, বালিয়াবাড়ি, গোজাদিয়া, আতকাপাড়া, কলাতুলি, কিরাটনসহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে শতাধিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে।

এ ব্যাপারে ২০১৪ সালে করিমগঞ্জের নোয়াবাদের কালিপুরের নিহত আবু বকরের ছোট ভাই চন্দু মিয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে অভিযোগ দায়ের করেছিল বলে জানা গেছে। পরে বিভিন্ন সময়ে তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা সরেজমিনে এসে এসব হত্যাকাণ্ডের সত্যতা পেলে তাকে বিচারের আওতায় আনার জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

কিশোরগঞ্জের স্থানীয় যুদ্ধাপরাধ প্রতিরোধ আন্দোলন-এর সভাপতি  রেজাউল হাবীব রেজা জানান, আমরা ওই রাজাকার কমান্ডারকে গ্রেফতার করার জন্য এক যুগ আগে থেকেই দাবি জানিয়ে আসছিলাম।

করিমগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মো. ফজলুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাজাকার কমান্ডার গাজী মান্নানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর থেকে তাদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

এমএএস/পিআর