ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বাংলার মিলন মেলা

প্রকাশিত: ০৯:০৩ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আগরতলা সীমান্ত এলাকা দুই বাংলার মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় আগরতলার নীহারিকা সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এই মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

মিলন মেলার শুরুতেই ৫২’র ভাষা শহীদ ও ত্রিপুরার প্রয়াত কবি অনিল সরকার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের শিল্পীদের কবিতা আবৃত্তির মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে দুই বাংলার পক্ষ থেকে একে-অপরের জন্য নিয়ে আসা ফুল, মিষ্টি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক মো. মনির হোসেন ও নীহারিকা সাংস্কৃতিক সংগঠনের সম্পাদক শুভ্রজিৎ ভট্টাচার্যের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার শ্রী পবিত্র কর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, ত্রিপুরার আজকের ফরিয়াদ পত্রিকার সম্পাদক শানিত দেব রায়, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, ত্রিপুরার বিশিষ্ট সাংবাদিক তাপস দেবনাথ।

বক্তব্যে ত্রিপুরার ডেপুটি স্পিকার শ্রী পবিত্র কর বলেন, ১৯৫২ সালে বাঙালি জাতি বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য সংগ্রাম করেছিল, কিন্তু এই সংগ্রাম যে একটি দেশ তৈরি করবে সেই স্বপ্ন তাদের ছিল না।

বাঙালি জাতিকে গর্বিত জাতি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাঙালি জাতি ভাষার জন্য সংগ্রাম করে বাংলাদেশ তৈরি করেছে। এ সময় ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশের সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শ্রী পবিত্র কর।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে শুধুমাত্র ভৌগলিক সীমানা ছাড়া আর কোনো সীমানা নেই, দু’দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এক এবং অভিন্ন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের উপদেষ্টা জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী আফজাল হোসেন নেসার, নারী সংগঠক নেলী আকতার, ত্রিপুরার সাংবাদিক তীর্থঙ্কর দাস, বিশ্বজিৎ পাল বাবু প্রমুখ।

বিএ/আরআই