মিয়ানমারের কারাগারে বন্দি ২ বাংলাদেশি
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হাজিরপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের দুই যুবক চার বছর ধরে মিয়ানমারের কারাগারে বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, মামাতো ও ফুফাতো দুভাই চার বছর আগে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার পথে বেরিয়ে মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে আটক হন। এরপর থেকে মিয়ানমারের কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা এমনটি জানিয়েছেন বন্দিদের স্বজনরা।
এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরে বন্দিদের মুক্ত করতে সহায়তার আবেদন জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ বন্দিদের পরিবারের।
বন্দিরা হলেন, উখিয়ার রাজাপালং হাজিরপাড়া গ্রামের আমির হোছনের ছেলে আবুল হোছন (২৯) ও মকবুল আহমদের ছেলে জামাল হোছন (৩৩)।
আবুল হোসেনের বাবা আমির হোসেন জানান, সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো দুই ভাই আবুল ও জামাল টেকনাফ থানা পুলিশের বাবুর্চি হিসেবে রান্নার কাজ করতেন। সেখানে দুজন স্থানীয় মানবপাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাগর পথে পাড়ি জমান।
প্রায় চার বছর আগে এখবর জানার পর দুজনের সঙ্গে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনভাবেই তাদের হদিস পাওয়া যায়নি। পরিবার ভেবেছেন তারা মারা গেছেন।
সম্প্রতি মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন আনচিং (মালাবিন) জেলের ৩নং ওয়ার্ড থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেন টেকনাফের আরেক নিখোঁজ যুবক। তিনি বাড়িতে এসে জামাল ও হোছনের অবস্থান সম্পর্কে তাদের পরিবাকে জানান। এরপরই তাদের উদ্ধারে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেছেন দুই পরিবারের লোকজন।
রাজাপালং ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান, তার ইউনিয়নের দুটি পরিবার এসব বিষয়ে সহযোগিতার জন্য এসেছেন। যথাযথভাবে আবেদন পাঠানো হয়েছে। ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় হয়তো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ জন্য দেরি হচ্ছে।
উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করার আগে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য উখিয়া থানাকে অবহিত করবে। এখনো যেহেতু আমাদের কিছু জানানো হয়নি। সেহেতু ভুক্তভোগীদের আবেদন পৌঁছালেও তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/এবিএস