তালতলীতে ট্রলার ডুবি, ৫ মরদেহ উদ্ধার
বরগুনার তালতলী উপজেলার পায়রা নদীর মোহনায় যাত্রীবাহী এফবি খাদিজা নামের ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে আরো ৮ জন। এর আগে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রায় ২শত যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
উদ্ধারকৃত মরদেহগুলো হলো- মহিপুরের পাঞ্জুপাড়া গ্রামের জয়নাল (৩৫), লক্ষিপাড়া গ্রামের সফিজ উদ্দিন (৬০), মহিপুরের আবদুস সত্তার (৪২), ইউসুফ মাঝি (৪৫) ও আবু নাঈম (১৩)।
ট্রলারে থাকা যাত্রী মহিপুরের কচ্চপখালী ও পশ্চিম আজিমপুর গ্রামের আবতাব হাওলাদার (৮০), সেকান্দার আলী (৭৫), কালাম (৫২), রত্তন (৭০)ও গোলাম মস্তোফা (৪০) জানান, বরগুনার চলাভাঙ্গা দরবার শরীফের মাহফিলে যাওয়ার জন্য কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থেকে প্রায় ২শত যাত্রী নিয়ে এফবি খাদিজা নামের ট্রলারটি সকাল ৯টায় ছেড়ে আসে। মহিপুর থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে তালতলীর নলবুনিয়ার চর সংলগ্ন পায়রা নদীর মোহনায় আসলে জোয়ারে স্রোতের তোরে ট্রলারটি ডুবে যায়।
এসময় নদীতে থাকা অন্যান্য চলন্ত জেলে ট্রলারে ডুবে যাওয়া ট্রলারের মাঝি, মিস্ত্রি ও মুছুল্লীদেরসহ একজনের লাশ উদ্ধার করে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ট্রলার ও মুছুল্লীদের মধ্যে ৮জন নিখোজ রয়েছে।
ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক ও ট্রলারের মাঝি হাজী আবদুল কাদের জানান, যাত্রী বোঝাই ট্রলারটি নলবুনিয়ারচর সংলগ্ন পায়রা নদীর মোহনায় আসলে জোয়ারের স্রোতে হঠাৎ কাঁত হয়ে ডুবে যায়।
ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী ও তালতলী থানার ওসি বাবুল আকতার ট্রলারে থাকা মুছুল্লীদের বরাত দিয়ে জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারের ৫-৬ জন মুছুল্লী নিখোঁজ রয়েছে। এদের বাড়ী কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। তবে উদ্ধারকারীরা কিছু মুছুল্লীদের উদ্ধার করে নদীর অপর পরে নিয়ে গেছে। একারণে নিখোজের সঠিক কোন তথ্য দেয়া যাচ্ছে না।
নিহত নাঈমের পিতা রুহুল আমীন আকন কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, তার ছেলে নাঈম (১৪) চলাভাঙ্গা দরবার শরীফের মাহফিলে যাওয়ার জন্য এ ট্রলারে ছিল। ট্রলারে থাকা তাদের গ্রামের আরও অনেক মুছুল্লীদের মধ্যে ৪-৫জন পাওয়া যায়নি।
এদিকে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ট্রলারের মাঝি বাবুল জানান, উদ্ধার কাজ শেষ হলেও নিখোজ মুছুল্লীদের তল্লাশি চলছে।
আরএস