ঢামেকে ভর্তি হতে পারছে না খুশি
ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছে না ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার মেয়ে জিন্নাতুন ফেরদৌস খুশি।
গত ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ১৮২তম হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছে খুশি।
জিন্নাতুন ফেরদৌস খুশি ২০১৪ সালে নেকমরদ আলিমুদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এবং ২০১৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
জিন্নাতুন ফেরদৌস খুশির ভাষ্য, অক্টোবর মাসের ২০ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যে ভর্তি হতে হবে। ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় টাকা তার পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়।
কয়েক মাস আগে বাবা মারা গেছেন জানিয়ে জিন্নাতুন বলে, ‘বাবার স্বপ্ন ছিল আমি চিকিৎসক হবো। কিন্তু চান্স পেয়েও আমার ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে গেছে। বাবা বেঁচে থাকলে এটা হতো না।’
রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বাজারে দুটি দোকারের ভাড়ায় চলে তাদের পরিবারের খরচ। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে জিন্নাতুন দ্বিতীয়। বড় ভাই রবিউল ইসলাম দিনাজপুর হাজী মুহম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি বিভাগে পড়ছে আর ছোট ভাই পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে।
খুশির মা আনোয়ারা বেগম বলেন, খুব কষ্টে পরিবারের খরচ চালাতে হয়। মেয়েকে কীভাবে ভর্তি করাব, কীভাবে পড়ার খরচ চালাব জানি না। সবার পড়ালেখার খরচ চালানো খুব কষ্টের হয়ে গেছে। এখন যদি সমাজের বিত্তবান কেউ সহযোগিতা করে তাহলে মেয়েকে পড়াতে পারবো।
এ বিষয়ে নেকমরদ আলিমুদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহ আলম বলেন, জিন্নাতুন ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত এই বিদ্যালয়ে পড়েছে। সে খুবই মেধাবী। সুযোগ পেলে অনেক দূর যাবে সে। সমাজের বিত্তবানদের জিন্নাতুনের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
২ নং নেকমরদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, মেয়েটি মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। কিন্তু টাকার জন্য ভর্তি হতে পারছে না। আর্থিকভাবে সহযোগিতা পেলে মেয়েটি চিকিৎসক হতে পারবে।
মো. রবিউল এহসান রিপন/এএম/পিআর