জীবননগরে জোড়া লাগানো জমজ শিশুর জন্ম
জীবননগরে পেট জোড়া লাগানো জমজ শিশুর জন্ম হয়েছে। শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে বুধবার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মা সীমা খাতুন (২০) জোড়া লাগা শিশুর জন্ম দেন।
জন্মের পর দুই শিশু সুস্থ বলে জানিয়েছেন জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মাহমুদ বিন হেদায়েত সেতু।
এদিকে দরিদ্র কৃষক পরিবারে পেট জোড়া লাগা জমজ শিশুর জন্ম হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে মুকুল-সীমা দম্পতি। তাদের চিকিৎসা করানো নিয়ে দরিদ্র মুদি দোকানি বাবা দিশেহারা।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মেদিনীপুর গ্রামের বাদল মিয়ার মেয়ে সীমা খাতুনের সঙ্গে দুই বছর আগে পার্শ্ববর্তী গয়েশপুর গ্রামের জাহানুল হোসেনের ছেলে মুদি দোকানি মুকুল মিয়ার বিয়ে হয়। সীমার প্রসব বেদনা উঠলে বুধবার তাকে শহরের আদর্শ ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো জমজ শিশুর জন্ম দেন সীমা খাতুন।
চিকিৎসক ডা. মাহমুদ বিন হেদায়েত সেতু জানান, এমন শিশু জন্মের ঘটনা খুবই বিরল। এ রোগের নাম কনজয়েন্ট টুইন। দুজনকে আলাদা করতে হলে বিশেষ্ণজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে। যার জন্য বিপুল অংকের অর্থের প্রয়োজন।
দুই শিশুর নানা বাদল মিয়া জানান, জোড়া লাগানো জমজ নাতনির জন্মের খবরে পরিবারে হতাশা নেমেছে। এটা তার মেয়ের সংসারে প্রথম সন্তান। তাই দুই শিশুর নাম রাখা হয়েছে হাসি-খুশি।
বাদল মিয়া জানান, তিনি একজন দরিদ্র কৃষক। অন্যদিকে জামাই মুকুল মুদি দোকানি। জমজ হাসি-খুশির চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন, যা তাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সালাউদ্দিন কাজল/এএম/এবিএস