মাদারীপুরে পুকুর ভরাট বন্ধে হাইকোর্টের রুল
মাদারীপুর ১নং পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন পুরনো পুকুর ভরাট বন্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুকুর ভরাটে দুই মাসের স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দিয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।
পরিবেশ রক্ষার্থে দায়ের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে উল্লেখ করা হয়েছে, পুকুর ভরাট বন্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং ভরাট অংশ ভরাটকারীদের নিজ খরচে অপসারণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদর থানার ওসিসহ ১২ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
উল্লেখ, ১নং পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে কদিন ধরে শহরে মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন সাধারণ মানুষ, পৌর মেয়র, পরিবেশবাদী সংগঠন ফ্রেন্ডস অব নেচারসহ সুধী মহল। এ সংক্রান্ত সংবাদ একাধিক জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। পত্রিকার কাটিং সংযুক্ত করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রোববার হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়। এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার আদালত এই আদেশ দেন। পুরান শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় পুকুরটি ভরাট প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত মাদারীপুর সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের সাবেক ভিপি সাইফুর রহমান রুবেল খান, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভির মাহমুদ।
জাহিদুল ইসলাম দাবি করে বলেন, মাদারীপুর শহর রক্ষা বাঁধের কাছাকাছি যত পুকুর আছে, সব ভরাট করার নির্দেশ দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসক অবহিত আছেন। তাদের অনুমতি নিয়েই আমরা ভরাটকাজ শুরু করেছি।
সাইফুর রহমান রুবেল খানের দাবি, পুকুর ভরাট করে সরকারের উন্নয়ন কাজে করা হবে। নৌ-পরিবহনমন্ত্রী মাদারীপুরের উন্নয়ন করার জন্য পুকুর ভরাট করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ কে এম নাসিরুল হক/এমএএস/আরআইপি