দেশে আসছেন খাদিজার বাবা ও ভাই
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের হাতে গুরুতর আহত সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসের বাবা মাসুক মিয়া দেশে আসছেন। মেয়ের উপর নৃশংস হামলার খবর শুনে পাগলপ্রায় মাসুক মিয়া সৌদি আরব থেকে রওনা দিয়েছেন।
ওইদিন দেশে আসছেন খাদিজার বড় ভাই চীনে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অধ্যয়নরত শাহীন আহমদও। খাদিজার দুঃসময়ে পাশে থাকতে দেশে ছুটে আসছেন তারা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি বিমানে মাসুক মিয়া সৌদি থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমাবনবন্দরে এসে পৌঁছবেন বলে জানান খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস।
তিনি বলেন, খাদিজার বাবা টেলিফোনে জানিয়েছেন তার পরিবার নিরাপদে নেই। তাই তিনি দেশে ফিরছেন। হামলাকারী বদরুলের কঠিন শাস্তির দাবিও করেছেন খাদিজার বাবা।
খাদিজার বাবা সৌদি আরব জেদ্দা প্রবাসী মাসুক মিয়া বলেছেন, এমনভাবে নরপশু বদরুলকে শাস্তি দেয়া হোক, যেন আর কেউ কখনো এমন জঘণ্য কাজ করার দুঃসাহস করতে না পারে। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বলে জানান খাদিজার চাচা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রির (পাস) ছাত্রী খাদিজা। পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম (২৭)।
বর্তমানে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে খাদিজা চিকিৎসাধীন। অপারেশনের পর চিকিৎসকরা তাকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। এ ঘটনায় বদরুলকে একমাত্র আসামি করে শাহপরান থানায় খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন।
এআরএ/এবিএস