ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কী হবে কক্সবাজার বিমানবন্দরের নতুন নাম

প্রকাশিত: ০৬:০৬ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপ দিতে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। চলতি সময়ে পর্যটন জাতীয় আয়ের একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে পরিলক্ষিত হবার পর বিশ্বের সঙ্গে কক্সবাজারের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে এ উদ্যোগ হাতে নিয়েছে বর্তমান সরকার।
   
এদিকে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে দেখে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে কয়েকজন প্রসিদ্ধ ব্যক্তির নামে নামকরণ করার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
 
এরই মাঝে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রসিদ্ধ অলী কুতুবদিয়ার শাহ আব্দুল মালেক আল-কুতুবীর নামে কক্সবাজার বিমানবন্দরের নামকরণ করতে কুতুব শরীফ দরবার শরীফের আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার হিল ডাউন সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দিন খান বাদল।
 
এদিকে কুতুব দরবার শরীফের এ দাবি দেখে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম মোজাম্মেল হকের নামে নামকরণের দাবি তুলেছেন যুব ইউনিয়নের কক্সবাজার জেলা সভাপতি কলিম উল­াহ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কবি মানিক বৈরাগীসহ আরো কয়েকজন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

ইতোমধ্যে কক্সবাজারের মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ সকল প্রগতিশীল দল ও সংগঠন কক্সবাজার বিমান বন্দরের নাম মোজাম্মেল হকের নামে নামকরণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্বারকলিপিও পেশ করেছে।

এসব দেখে সামাজিক যোগাযোগ সাইটে টেকনাফ ও মহেশখালীর কয়েক প্রসিদ্ধ আওলিয়ার নামে বিমান বন্দরটি নামকরণেরও দাবি করেন দুই এলাকার অনেক সচেতন ব্যক্তি।

অপরদিকে, এসব দাবিকে পর্যটন রাজধানী খ্যাত সম্ভাবনাময় কক্সবাজারকে নিয়ে ষড়যন্ত্র বলে উল্লে­খ করেছেন কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যাপক ও স্থানীয় দৈনিক সমুদ্রকণ্ঠ সম্পাদক ও প্রকাশক মঈনুল হাসান পলাশ। এ নিয়ে তিনি এক বিশেষ মন্তব্য প্রতিবেদনে উল্লে­খ করেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতের মালিক বাংলাদেশের কক্সবাজার। বহির্বিশ্বে দেশের পর্যটনের প্রচারণায় যে বিষয় এবং ছবিটি সর্বাগ্রে প্রদর্শন করা হয়, তা হলো কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। তাই দেশীয় পর্যটনের ব্র্যান্ডিং আসলে কক্সবাজার নিজেই।

কক্সবাজারকে বিশ্বের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করতে বর্তমান সরকারের প্রকল্প আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করার মূল বিষয় শুধু মাত্রই কক্সবাজার। যখন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হবে, তখন সারা দুনিয়ার এয়ারট্রাফিক ম্যাপে, লিস্টে নাম থাকবে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। সারা দুনিয়ার পর্যটকদের কাছে কক্সবাজার নামটা আসবে সবার আগে।

কিন্তু কোনো ব্যক্তির নামে বিমান বন্দর হলে তার নামটা প্রচার পাবে অপরদিকে পর্যটনটা ঢাকা পড়ে যাবে। এ যাবত কক্সবাজারের ভাবমূর্তি কেবল ক্ষুণ্নই হয়েছে নানাভাবে। উন্নতি আর হয় নি। বাকি ছিলো নামটা। ওটাও এখন খাবলে খেতে  অনবরত চেষ্টা চলছে।

কক্সবাজর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলামের মতে, বিশ্ব পর্যটনের সার্থে কক্সবাজার বিমানবন্দর, কক্সবাজার নামেই রাখা বাঞ্চনীয়।

এ ব্যাপারে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রের বাসিন্দা হিসেবে সবার একটি দাবি রাখার অধিকার আছে। সরকারের অংশ হিসেবে সবার আবেদন নেয়া আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার একটি অথরিটি রয়েছে। তারাই করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানাবেন। এ নিয়ে এখন বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।

এফএ/পিআর