দেশি গরুই বেশি রাজশাহীর হাটগুলোতে
আর বেশি দিন বাকি নেই ঈদুল আযহার। রাজশাহী মহানগরী ও এর আশেপাশের উপজেলাগুলোতে পশুর হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর হাটগুলোতে দেশি গরুর আমদানি তুলনামূল বেশি। কিন্তু এবার গরুর দামও বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাটের ভেতরে সারিবদ্ধভাবে গরু-ছাগল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ব্যবসায়ীরা। আর ক্রেতারা বাজারের হালচাল বুঝতে গরু-ছাগলের দাম জিজ্ঞাসা করছেন। তবে ব্যবসায়ীরা তাদের গরু-ছাগলের দাম বেশি হাঁকছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
হাটে গরু কিনতে আসা মহানগরীর কোর্ট হড়গ্রাম এলাকায় আবদুল্লাহ মামুন নামের এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি হাটে গরু কিনতে নয়, দেখতে এসেছেন। পশুর দামের একটি ধারণা নিয়ে যাবেন। পরে এসে পছন্দের গরুটি কিনবেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, হাটে মাত্র তিন মণের একটি গরুর মূল্য হাঁকা হচ্ছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশি গরু আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মহানগরীর দর্গাপাড়া এলাকার সিবলী সাদিক মিলন জানান, এই হাটে গরু-ছাগলের পর্যাপ্ত আমদানি রয়েছে। তবে ছাগলের দাম একটু বেশি হাঁকছেন বিক্রেতারা। মাঝারি সাইজের একটি ছাগলের দাম ১২/১৩ হাজার টাকা বলা হচ্ছে। তবে সামনের দিনগুলোতে দাম কিছুটা কমতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।
এদিকে, জেলার চারঘাট উপজেলা থেকে গরু বিক্রি করতে আসা বাবর আলী জানান, প্রয়োজনের তুলনায় এ বছর দেশি গরুর আমদানি অনেক বেশি। কিন্তু তারপরও দাম বেশি। পশু লালন-পালনসহ আনুষঙ্গিক খরচ বেড়েছে তাই কম দামে গরু ছাড়বেন না তিনি।
ছাগল বিক্রেতা রহমান জানান, মাঝারি সাইজের দুটি ছাগল তিনি হাটে বিক্রি করতে এসেছেন। প্রতি ছাগলের মূল্য তিনি ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা দাবি করেছেন। ক্রেতারাও তার ছাগল দুটি পছন্দ করেছেন। কিন্তু দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় বিক্রি হয়নি। সামনের দিনগুলোতে এই দামেই ছাগল কিনতে হবে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে, এ বছর হাটে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (মুখমাত্র) ও রাজপাড়া থানার সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম।
তিনি আরো জানান, পুলিশের একটি বিশেষ টিম সাদা পোশাকে হাটে দায়িত্ব পালন করছে। তাছাড়াও সামনের দিনগুলিতে আরএমপির রাজপাড়া ও শাহমুখদুম থানা পুলিশের দুটি টিম বিশৃঙ্খলা এড়াতে সর্বদা দায়িত্ব পালন করবে।
রাজশাহী সিটি হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান কালু জানান, এ বছর দেশি গরুর আমদানিই বেশি। তবে গতবারের চেয়ে দামও অনেক বেশি। রাজশাহীর বিভিন্ন স্থান থেকে বড় পাইকাররা এখনও হাটে আসতে শুরু করেননি। এরপরও কেনা-বেচা শুরু হয়ে গেছে।
এফএ/পিআর