হালদাকে জাতীয় নদী ঘোষণা দাবি
দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীকে জাতীয় নদী হিসেবে ঘোষণা এবং এ নদী রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানান হালদা নদী রক্ষা কমিটি।
শুক্রবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে হালদা নদী রক্ষা কমিটির আয়োজনে ‘হালদা নদীর বর্তমান প্রেক্ষাপট ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সংবর্ধনায় এ দাবি তোলা হয়।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মুহাম্মদ সিকান্দার খানের সভাপতিত্বে সভায় হালদার সমস্যা ও সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া।
তিনি বলেন, হালদা পৃথিবীর একমাত্র জোয়ার ভাটার নদী। প্রাকৃতিক জিন ব্যাংক সমৃদ্ধ এ হালদা নদী থেকে প্রতি বছর ৮০০ কোটি টাকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আয় হয়। কিন্তু এ বছর ভরা মৌসুমেও মা মাছ ডিম ছাড়েনি। এর মূল কারণ হিসেবে রয়েছে পরিবেশ দূষণ, পিকিং পাওয়ার প্লান্ট এবং সিডিএ কর্তৃক অনন্যা আবাসিক এলাকার অপরিকল্পিত উন্নয়ন।
অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে আবাসিক এলাকা এবং ট্যানারি বর্জ্যে প্রতিনিয়ত দূষণের শিকার হচ্ছে হালদা। তাই অচিরেই হালদাকে বাঁচাতে এটিকে জাতীয় নদী ঘোষণা করার জোর দাবি জানান তিনি। কারণ হালদা বাঁচলে এ দেশ বাঁচবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হালদাকে রক্ষা করতে আমাদের সবাইকে
ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বিদায়ী জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, হালদা বাংলাদেশের গর্ব। যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে তাদেরকে হালদা রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।
এর আগে বিদায়ী জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়।
এদিকে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু নোমান, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুল হক হায়দারী, রূপালী ব্যাংকের পরিচালক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী এবং হালদা পাড়ের দুই ইউপি চেয়ারম্যান।
জীবন মুছা/জেএইচ/এমএস