প্রাণভিক্ষার ব্যাপারে মীর কাসেম আলীকে আবারো জিজ্ঞাসা করা হবে
কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেছেন, বুধবার মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে রায় পড়ে শুনানো হয়েছে। তার আত্মীয়-স্বজন দেখা করে গিয়েছেন। তিনি আমাদের কাছে কিছুটা সময় চেয়েছেন তার মতামত জানানোর জন্য। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ফের জিজ্ঞাসা করলে বুঝতে পারবো তিনি কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বুধবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এসময় অন্যানের মধ্যে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান, কারগার-১ এর সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা, কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক, জেলার নাশির আহমেদ প্রমুখ।
আইজি প্রিজন বলেন, যেহেতু মীর কাসেম সাহেব এই কারাগারে আছেন। এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাটা দেখার জন্যই কারাগারে আসা। এখানকার লাইটিং থেকে শুরু করে সব কিছুই পর্যাপ্ত আছে কি না তাও দেখতে এসেছি।
আইজি প্রিজন আরো বলেন, স্বাভাবিকভাবে মার্সি পিটিশনের করার জন্য কিছু যৌক্তিক সময় ওনাকে দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবে একজন লোক সহসা মন্তব্য করতে পারেন না। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে জিজ্ঞাসা করবো। জিজ্ঞাসা করলে ওনার অবস্থাটা বুঝতে পারবো।
ফাঁসি কার্যকরের স্পট কাশিমপুরে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।
যৌক্তিক সময় কতটুকু এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নির্ভর করবে উনি যখন যে উত্তর দিচ্ছেন, সেটার ওপর। ওনাকে আর কতটুকু সময় দেয়া উচিত। উনি যখন সময় চাইবেন এর পেছনে ওনার একটা যুক্তি থাকতে হবে। যদি আমরা মনে করি সেটা যুক্তি সঙ্গত। সেটা সমস্যা সমাধানের জন্য কতটুকু সময় দরকার। আমরা তখন নির্ণয় করবো।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জন্য আলাদা আইনে এটা বিচার হয়েছে। এক্ষেত্রে মার্সি পিটিশনের বিষয়টি একদম ক্লিয়ারলি ম্যানশন করা নেই। সাধারণ বন্দিরা রায়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাত দিনের সময় পেয়ে থাকেন। আমরা ধরে নিতে পারি সেই হিসেবে সর্বোচ্চ সাত দিন সময় দেয়া যেতে পারে। আমরা আশা করছি ওনার মতামত আরো আগে পাবো।
কারাগার প্রস্তুত আছে কি না এমন প্রশ্নে আইজি প্রিজন বলেন, কারাগার তার উপর অর্পিত যে সমস্ত দায়িত্ব আছে সব কাজ সম্পাদনের জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকে। এর জন্য আলাদা কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না।
আমিনুল ইসলাম/এআরএ/এবিএস