এবার খুলনা-কলকাতা রুটে নতুন বাস
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো উন্নতির লক্ষ্যে ঢাকা-কলকাতা, কলকাতা-আগরতলার পর এবার খুলনা-কলকাতা রুটেও বাস সার্ভিস চালু করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার পরীক্ষামূলকভাবে এই রুটে বাস চলাচল শুরু হবে। পরে বাণিজ্যিকভাবে বাস সার্ভিস চালু হবে। এটিই হবে দুই দেশের মধ্যে তৃতীয় সরাসরি বাস সার্ভিস। সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে সরাসরি বাস সার্ভিস চালুর ক্ষেত্রে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল মোটর ভেহিকেলস এগ্রিমেন্ট (বিবিআইএন-এমভিএ) এর আওতায় এই বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই সার্ভিসকে দীর্ঘস্থায়ী করতে ইতিমধ্যে এডিবির টাকায় কলকাতা-পেট্রাপোল জাতীয় সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে বলেও জানা গেছে।
পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামী ৩০ আগস্ট কলকাতার রুবি জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টায় খুলনা-কলকাতা রুটে বাস সার্ভিস উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। যশোর হয়ে এই রুটে বাস চালাবে ভারতের ভূতল পরিবহন নিগম। এছাড়া একই দিন পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা-দিল্লি ভায়া কলকাতা রুটে পণ্যবাহী গাড়ি চালানো শুরু করবে বাংলাদেশ। এজন্য দুই দেশের প্রাথমিক তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে রেল ও সড়ক যোগাযোগের পর নৌপথে যাত্রীবাহী নৌযান সার্ভিস চালু হওয়া এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। ৫০ আসন বিশিষ্ট নৌযান দেশ দুইটির মধ্যে চলাচল করবে।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন, শিগগিরই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী নৌযান সার্ভিস শুরু হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে যাতায়াতের জন্য নৌযান চলাচলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে। আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ এই সার্ভিস চালু হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানান, নৌ-পথকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে একাধিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এই লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে চূড়ান্ত আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে।
ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো বন্দর ব্যবহার করা হবে, নাবিকরা কোথায় থাকবেন এবং যাত্রীদের চেকিংয়ের জন্য শুল্ক ব্যবস্থা কোথায় কীভাবে করা হবে এসব বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচলা চলছে। খুলনা-কলকাতা ভায়া যশোর রুটে সরাসরি বাস সার্ভিস চালু হলে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, বাগেরহাটের খানজাহান আলী মাজারসহ খুলনার বিভিন্ন এলাকায় বিদেশি পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পাবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে। খুলনার সঙ্গে ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যের আরো বিকাশ ঘটবে।
এছাড়া খুলনা অঞ্চল থেকে চিকিৎসা সেবার জন্য ভারত ভ্রমণকারী পাসপোর্টযাত্রীদের দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে। দুই-দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক এবং ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দুই দেশের নাগরিকদের যাতায়াত নির্বিঘ্নে এবং সহজ হবে।
জামাল হোসেন/এআরএ/আরআইপি