চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
চুয়াডাঙ্গায় স্থানীয় এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম (৪৭)। তিনি সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্রপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি। তিনি ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত কাঙ্গালি মন্ডলের ছেলে।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অদূরে ব্রিজের কাছে তাকে কুপিয়ে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এসময় একই গ্রামের বিএনপি কর্মী মিলন (৩০) ও লিটনকে (৩৫) পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পরপর দুটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দুর্বৃত্তরা চলে যায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম, বিএনপি কর্মী মিলন ও লিটন স্থানীয় বড় শলুয়া বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে ছয়ঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অদূরে ব্রিজের কাছে পৌঁছায়। এসময় ৪-৫ জন মুখোশপরিহিত দুর্বৃত্ত তার মোটরসাইকেল গতিরোধ করে সিরাজুল ইসলামকে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও গুলি করে এবং মিলন ও লিটনকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পরপর দুটি শক্তিশালি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নির্বিঘ্নে চলে যায়। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সিরাজুল ইসলাম মারা যায়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওহিদুল ইসলাম বিশ্বাস এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও অভিযোগ করে জানান, আ.লীগের নেতাকর্মীরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
শঙ্করচন্দ্রপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান জানান, বিএনপির আহ্বায়ক ওহিদুল ইসলামের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ওসি মুন্সী আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায় নি। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে খুন করা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।