ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কুড়িগ্রামে বিলুপ্ত ছিটমহলে স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ

প্রকাশিত: ০৩:১৮ এএম, ১১ আগস্ট ২০১৬

কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ছিটমহলে নীলকোমল নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু বরাদ্দ না আসায় কষ্ট দূর করতে গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করছে বাঁশের সাকো। এই সাঁকো নির্মাণের ফলে ছিটের সহস্রাধিক মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।

কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে ভারত থেকে বয়ে আসা কৃশকায় নদী নীলকোমল। শুকনো মৌসুমে যাকে নালার মতো দেখায়। এই নীলকোমল নদী পার হয়ে যেতে হয় উপজেলা শহর ফুলবাড়ীতে।

অনেক প্রতিশ্রুতির কথা শোনা গেলেও এই নদীর উপর একমাত্র বাঁশের তৈরি পারাপারের সাঁকোটি অকেজো হয়ে গেলেও সরকারিভাবে নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে ভরা মৌসুমে দুর্বল সাঁকোটি পারাপারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় লোকজন চরম ঝুঁকির মধ্যে কলার ভেলায় পারাপার করছে।

সাবেক ছিট আন্দোলনের নেতা ময়নুল হক ও গোলাম মোস্তফা জানান, এক বছর পার হলো আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছি। আমরা বিদ্যুৎ পেয়েছি, রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে। কিন্তু নীলকোমল নদীর উপর দিয়ে পারাপারের একমাত্র সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় এখন অনেক পথ ঘুরে আমাদের ফুলবাড়ী উপজেলা শহরে যেতে হচ্ছে।

তারা আরো জানান, অনেকে ঝুঁকি নিয়ে ভেলায় পারাপার হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেও কোনো প্রতিশ্রুতি না পাওয়ায় এলাকার জনগণ নিজ উদ্যোগে সাঁকোটি মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাসিয়ারছড়া ছিটমহলে আসার সময় উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করে। এরপর থেকে সেটি আর সংস্কার করা হয়নি।

চলতি বর্ষা মৌসুমে সাঁকোটি দুর্বল হয়ে ভেঙে পড়ায় চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এরপর থেকেই এলাকার লোকজন বিভিন্ন মানুষের কাছে দেন দরবার করে সহযোগিতার জন্য। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। ফলে স্থানীয় কয়েকজন উদ্যোগ নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকোটি সংস্কারের কাজ শুরু করে।

কালিরহাট বাজারের আব্দুল হাকিম ও শিক্ষক নূর আলম মাস্টার জানান, এই এলাকার ময়নুল হক, হানিফ উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম ও মনির হোসেনসহ বেশ কয়েকজন মিলে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে নিজেদের শ্রমে সাঁকোটি মেরামত করছে।

আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি, এই নদীর উপর দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের। ব্রিজ না থাকার কারণে অসুস্থ রোগী বা গর্ভবতী মায়েদের পারাপারে খুব সমস্যা হচ্ছে। এটি নির্মিত হলে কৃষক তার উৎপাদিত ফসল বাইরে নিয়ে যেতে পারবে। উপকৃত হবে ছিটমহলের সহস্রাধিক মানুষ।

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আরেফিন খান জানান, দাসিয়ারছড়ার উন্নয়নে একটি প্যাকেজ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই ব্রিজটি পিপিতে আছে। এখনো বরাদ্দ পাইনি। বরাদ্দ পেলে দ্রুততম সময়ে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

নাজমুল হোসেন/এসএস/আরআইপি