কেঁচো দিয়ে ভাগ্য বদলালেন শাহানাজ
মাগুরা সদর উপজেলার বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে কেঁচো সার তৈরি করে গৃহিণী শাহানাজ বেগমের ভাগ্য বদলে গেছে। তার দেখাদেখি অনেক কৃষকই এখন কেঁচো সার তৈরি করছেন।
অন্যান্য সারের তুলনায় এ সার ব্যবহারে খরচ কম ও শস্য উৎপাদন বেশি হওয়ায় দিন দিন মাগুরায় কেঁচো সার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
শাহানাজ বেগম জাগো নিউজকে জানান, প্রায় এক বছর আগে বসতবাড়ির আঙিনায় কেঁচো সার তৈরির জন্য চাড়ি (পাত্র) বসান। মাত্র এক হাজার টাকা খরচ করে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন শুরু করেন তিনি।
প্রথমদিকে তেমন বেচাবিক্রি না হলেও বর্তমানে তিনি সার বিক্রির টাকায় ছেলে-মেয়েকে পড়াশোনা করাচ্ছেন। সহজ শর্তে ঋণ ও উন্নত জাতের কেঁচো পেলে তিনি তার ভার্মি কম্পোস্ট প্লটটি আরও বড় করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন।
তার ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন কেন্দ্রে কাজ করে এলাকার বেশ কয়েকজন বেকার যুবকের আয় উপার্জনের সুযোগ হয়েছে। এছাড়া তাকে অনুসরণ করে এ সার তৈরি করতে ঝুঁকছেন অনেকেই।
কৃষকরা জানান, প্রতিকেজি কেঁচো সার বিক্রি হয় বিশ থেকে পঁচিশ টাকা দরে।
মাগুরা সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জাগো নিউজকে জানান, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় জৈব সারের কোনো বিকল্প নেই। ফলে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন করে শাহানাজ এলাকায় ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন ।
জেলায় ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন বাড়ালে বেকার সমস্যার সমাধান হবে ও সার-কীটনাশক মুক্ত শাক সবজি চাষ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তিনি।
আরাফাত হোসেন/এসএস/আরআইপি