ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চাটমোহরে গ্রামীণ ব্যাংকের অফিসে প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই

প্রকাশিত: ০১:৪৫ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০১৬

পাবনা জেলার চাটমোহরের গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো শাখা অফিসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নেই। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর ছবি না টাঙানোকে কেন্দ্র করে ব্যাংকের বাসস্ট্যান্ড শাখার সামনে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। একই সঙ্গে অফিসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি লাগানোর জন্য ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ দাবি করা হয়। এ সময় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল আলিমের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী বের হয়। তারা পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড শাখায় গিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক কর্মকর্তাদের শেখ হাসিনার ছবি লাগানোর জন্য সময়সীমা বেঁধে দেন। এ সময় তারা অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

সমাবেশে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল আলিম বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি অফিসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সরকার প্রধানের ছবি টাঙানোর কথা থাকলেও গ্রামীণ ব্যাংক তা মানছে না। বরং অফিসগুলোতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছবি ও বিভিন্ন বাণী লেখা রয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের শাখাগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না লাগানো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও সেসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।

গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ দাবি করে তিনি আরো বলেন, তাদের ২৪ ঘণ্টা সময় দেয়া হয়েছে। এরপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না লাগালে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে চাটমোহর বাসস্ট্যান্ডে গ্রামীণ ব্যাংক শাখা অফিস ম্যানেজার মঞ্জু আলম জানান, ছবি লাগানোর ব্যাপারে আমাদের অফিশিয়ালি কোনো নির্দেশনা নেই। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অফিসে এসেছিলেন। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।  

চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মির্জা রেজাউল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না টাঙানো খুব দুঃখজনক ব্যাপার।

এ ব্যাপারে চাটমোহর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন, তবে এ বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি।

একে জামান/এএম/এবিএস