জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ : ৩৩৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে করে পাঁচ উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়নের আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে ৩৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বন্যার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার ইসলামপুর উপজেলার ইসলামপুর সদর, কুলকান্দি, চিনাডুলি, বেলগাছা, নোয়ারপাড়া, সাপধরী, পার্থশী, পলবান্ধা, গোয়ালেরচর, গাইবান্ধা, দেওয়ানগঞ্জের চিকাজানি, চুকাইবাড়ি, ডাংধরা, বাহাদুরাবাদ প্লাবিত হয়েছে।
এচাড়া মাদারগঞ্জের বালিজুড়ী, চরপাকেরদহ, কড়ুইচুড়া, জোড়খালী এবং মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর, নাংলা, আদ্রা, দুরমুঠ, কুলিয়া, ফুলকোচা, ঘোষেরপাড়া, ঝাউগড়া, শ্যামপুর, নয়ানগর, সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা, আওনা, পোগলদিঘা, সাতপোয়া, কামরাবাদ ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম বন্যা প্লাবিত হয়েছে।
বন্যার পানি নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় ইতোমধ্যেই আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে স্থানীয় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বসতঘরে বন্যার পানি ঢুকে যাওয়ায় বিভিন্ন বাঁধ এবং উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে বন্যা দুর্গতরা। সেই সঙ্গে দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় জেলার ৩৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ২ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গত এলাকায় এখন পর্যন্ত ১৭৩ মেট্রিক টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ২ লাখ ২০ হাজার নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জের ৮টি ফ্লাট সেন্টারে ৫ হাজার পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিদিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও বন্যার পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সেই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন দুর্গত এলাকার মানুষ।
শুভ্র মেহেদী/এসএস/আরআইপি