ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জামালপুরে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বন্যা

প্রকাশিত: ১০:৩৩ এএম, ২৭ জুলাই ২০১৬

যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে পাঁচ  উপজেলার ২৭টি ইউনিয়নের দেড় শতাধিক গ্রামের দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে ১৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

ভারি বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গেলো ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ইসলামপুর উপজেলার ইসলামপুর সদর, কুলকান্দি, চিনাডুলি, বেলগাছা, নোয়ারপাড়া, সাপধরী, পার্থশী, পলবান্ধা, গোয়ালেরচর, গাইবান্ধা, দেওয়ানগঞ্জের চিকাজানি, চুকাইবাড়ি, ডাংধরা, বাহাদুরাবাদ, মাদারগঞ্জের বালিজুড়ী, চরপাকেরদহ, কড়ুইচুড়া, জোড়খালী এবং মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর, ঘোষেরপাড়া, আদ্রা, নাংলা, সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা, আওনা, পোগলদিঘা, সাতপোয়া, কামরাবাদ ইউনিয়নের দেড় শতাধিক গ্রাম বন্যা প্লাবিত হয়েছে।

jamalpur

বন্যার পানি নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় ইতিমধ্যেই দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে স্থানীয় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বসতঘরে বন্যার পানি ঢুকে যাওয়ায় বিভিন্ন বাঁধ এবং উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে বন্যা দুর্গতরা। সেই সঙ্গে দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে, ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ। দুর্গত এলাকায় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও বাস্তবে তাদের চোখে পড়েনি।

এদিকে, বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় জেলার ১৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও এক হাজার ৪০ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

jamalpur

অন্যদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গত এলাকায় এখন পর্যন্ত ১৭০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। তবে প্রতিদিন বন্যার পানি নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সেই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়ে দুর্গত এলাকার মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা।

জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাসেল সাবরিন জানান, বন্যাদুর্গত এলাকায় এখন পর্যন্ত ৭৭ মেট্রিক টন চাল, শুকনো খাবার, নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় আরো ত্রাণ বিতরণ করতে ১১৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

শুভ্র মেহেদী/এআরএ/এবিএস