একজন দফতরি কাম নৈশপ্রহরী দিয়ে চলছে বিদ্যালয়
শরীয়তপুরে ৪০নং দুলারচর ছয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন দফতরি কাম নৈশপ্রহরী দিয়ে চলছে সাড়ে ৪শ শিক্ষার্থীর পাঠদান।
জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার কাঁচিকাঁটা ইউনিয়নের চর জিংকিং গ্রামের ৪০নং দুলারচর ছয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবত কোনো শিক্ষক নেই। বিদ্যালয়ের দফতরি কাম নৈশপ্রহরী শাহজাহান খান একাই শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় চত্বর শিক্ষার্থীদের কলকাকলীতে মুখর। কিন্তু শ্রেণিকক্ষে কোনো শিক্ষক নেই। ৪র্থ শ্রেণিতে একজনকে দেখে কথা বলতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে সাংবাদিকদের চাপের মূখে স্বীকার করেন তিনি বিদ্যালয়ের একজন দফতরি কাম নৈশপ্রহরী।
৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছালমা, সুজন ও সজিব জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক নেই। আমাদের দফতরি স্যার না থাকলে ক্লাস করতে পারতাম না। সামনে সমাপনী পরীক্ষা। অথচ আমাদের পাঠদানের জন্য কোনো শিক্ষক নেই।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সিদ্দিক আলী বেপারী বলেন, দুর্গম চরাঞ্চল এবং এলাকার মানুষ গরীব বলে কোনো শিক্ষক এখানে আসতে চায় না। তদবির করে অন্যত্র চলে যান।
অভিভাবক মোস্তফা সরদার, জহিরুল ইসলাম, হেলাল হোসেন চৌধুরী ও নূর আলম গাজী জানান, দীর্ঘদিন কোনো শিক্ষক না থাকায় আমাদের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে আমরা দুঃচিন্তায় আছি। উপজেলায় যোগাযোগ করেও কোনো সুরাহ হয়নি।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন (ভার ক্লাস্টার ভূক্ত বিদ্যালয়) বলেন, ৪ জন শিক্ষকের মধ্যে একজন শিক্ষক ছিলেন। বর্তমানে দলীয় কোন্দলে তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন। প্যারা শিক্ষক থাকার কথা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন খান বলেন, চরের মধ্যে বিধায় আগে থেকেই সেখানে শিক্ষক সঙ্কট ছিল। চরে কেউ যেতে চায় না।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি নতুন আসছি। এ বিষয়ে মাত্র জানলাম এখনই ব্যবস্থা নেব।
এফএ/পিআর