ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা
নাশকতা এড়াতে এবার মহাসড়কে বসেছে সিসি ক্যামেরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিটি গেট থেকে মিরসরাই পর্যন্ত ৬৬ কিলোমিটার রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন পুলিশ-বিজিবির পাশাপাশি সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরায় মনিটর করা হচ্ছে। ফলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সিটি গেট থেকে বড় দারোগারহাট পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার রাস্তায় অবরোধে গত ৫ দিনেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
তবে গত ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি আসলাম চৌধুরীকে পুলিশ চট্টগ্রাম দলীয় অফিস থেকে গ্রেফতার করার পর দলের অন্য নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিয়েছেন। ফলে ২০১৩ সালে সীতাকুণ্ডে ব্যাপক নাশকতা হলেও এবারের আন্দোলনে তার কোনো লক্ষ্য নেই।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ইন্সপেক্টর মীর গোলাম ফারুক ভূঁইয়া জানান, সিটি গেট থেকে শুভপুর ব্রিজ পর্যন্ত ৮টি স্থানে ১৬টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। যাতে নাশকতাকারীদের সহজে শনাক্ত করা যায়। ওই ক্যামেরাগুলো থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি থেকে সর্বাক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি ইফতেখার হাসান জানান, তিন প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের টিমসহ ৩শ` পুলিশ সদস্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দায়িত্ব পালন করছে। ফলে টানা অবরোধেও যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে। এ ছাড়া কয়েকটি গাড়ি একত্র করে পুলিশ পাহারায় গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
গত বছর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছিনতাই ও ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিটি গেট থেকে শুভপুর ব্রিজ পর্যন্ত ১৬টি স্পটে ৩২টি সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয় পুলিশ।