অবরোধ দুর্ভোগ : ভরা মৌসুমেও পর্যটক শূন্য সিলেট
টানা অবরোধের কারনে ভরা মৌসুমেও পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে পর্যটন নগরী সিলেট। বন্ধ হয়ে গেছে হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলো। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, নাশকতামূলক কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় প্রবাসীরাও দেশে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে পর্যটনশিল্প আবারো বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, মূলত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি- এই চারমাস পর্যটন মৌসুম ধরা হয়। এ সময় প্রকৃতির টানে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ঢল নামে দেশি-বিদেশি পর্যটকের। ভ্রমণকারীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোও। মৌসুমের শুরুতেই হোটেল ব্যবসায়ীরা জমিয়ে ব্যবসা করলেও জানুয়ারির শুরু থেকে নাশকতা ও হরতাল-অবরোধে থেমে গেছে পর্যটকদের স্রোত। বাতিল হয়েছে হোটেল বুকিং। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে পর্যটন শিল্প বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
হোটেল অ্যান্ড গেস্টহাউস ওনার্স গ্রুপের সহ-সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, গত ৩-৪ দিন থেকে পর্যটকেরা চলে যাচ্ছেন, এমনকি তারা বিরক্তি প্রকাশ করে আর আসবেন না বলেও জানাচ্ছেন।
সিলেট চেম্বার এন্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সালাহ উদ্দিন আলী আহমদ বলেন, এটাই আমাদের ব্যবসা-বান্ধব সময়, হরতাল অবরোধে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, স্বজনদের সাথে আনন্দঘন কিছুটা সময় কাটাতে প্রতিবছর শীত মৌসুমে প্রবাসীরাও দেশে আসেন। কিন্তু হঠাৎ করে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় তারা দেশে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে মনে করেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।
হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী খলিলুর রহমান মাসুম বলেন, এমন ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতিতে প্রবাসীরা আসছেন না, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান বাতিল হচ্ছে, আমাদের এখানে কিছু বুকিং ছিলো, সেগুলোও বাদ হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যটনশিল্প পুরোপুরি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভরশীল। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে পর্যটকরা কখনও সেই দেশ ঘুরতে আসে না।
বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের সাবেক সদস্য ডা. মোহাম্মদ জাকারিয়া হোসেন বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় পর্যটকরা আসেন না, এতে করে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ী, এমনকি একজন রিকশাচালকও পর্যটক না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন।