প্রেমের টানে পাকিস্তান যাওয়া হলো না ফাতেমার
ফেসবুকে পরিচয় হয় পাকিস্তানি যুবক রাফির সঙ্গে। অতঃপর শুরু হয় প্রেম। কিশোরী ফাতেমা-তুজ-জোহরা সিদ্ধান্ত নেয় বাড়ি থেকে পালিয়ে পাকিস্তান চলে যাবে। একপর্যায়ে সুমন নামে এক দালালের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে সে। তবে পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না তার। পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে মা-বাবার হেফাজতে এখন ফাতেমা।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা এসআই মজনু মিয়া জাগো নিউজকে জানান, ঢাকার ধামরাই এলাকার মোশারফ হোসেনের নবম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ে ফাতেমা-তুজ-জোহরার সঙ্গে পাকিস্তানি যুবক রাফির মাস খানেক আগে ফেসবুকে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এদিকে, প্রেমের টানে কিশোরী ফাতেমা পাকিস্তান যাবার জন্য সুমন নামে বাংলাদেশি এক দালালের সঙ্গ যোগাযোগ শুরু করে। দালালের কথামত মায়ের ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে আগেই দিয়ে দেয় সুমনকে। পরে পাকিস্তান যাবার জন্য গত রোববার বাড়ি থেকে পালিয়ে সুমনের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে ফাতেমা।
প্রতারক সুমন তাকে নিয়ে ঢাকা থেকে প্রথমে চলে যায় লালমনিরহাট। পরে সোমবার সন্ধ্যায় রংপুরের কামারপাড়া বাসস্ট্যান্ডে অবস্থানকালে ওই দুজনের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে আটক করলেও প্রতারক সুমন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে মেয়েটির কথামত তার মা-বাবাকে খবর দিলে মঙ্গলবার সকালে তারা ঢাকা থেকে রংপুর এসে মেয়েকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম জাহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মেয়েটি প্রতারকের খপ্পরে পড়েছিল। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মা-বাবার হেফাজতে দিয়েছে।
জিতু কবীর/এআরএ/এমএস