দিনমজুরের ছেলের জিপিএ-৫ পেতে নেই
`পরের ক্ষেতে কামলার কাজ করে এমন লোকের ছেলের জিপিএ-৫ পেতে নেই।` মনের দুঃখে এভাবেই কথাটি বলছিলেন ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা গ্রামের ক্ষেতমজুর নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, তার ছেলে রাকিব হাসান এ বছর হরিণাকুন্ডু থানার আদর্শ আন্দুলিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন ডোবা-নালায়, ক্যানাল, খালে-বিলে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে তারা। কখনও-কখনও সে পানের বরজেও কৃষি কাজ করে সংসার চালায়। তার বড় ছেলে রাকিব ও সংসার চলানোর জন্যে তাকে প্রতিনিয়ত সাহায্য করে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, নাসির উদ্দিনের ছেলে রাকিব হাসান অত্যন্ত মেধাবী ও বুদ্ধিমান। ছোট বয়স থেকেই লেখাপড়ার প্রতি তার প্রবল ইচ্ছা। এ বছর এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও আর্থিক সংকটের কারণে লেখাপড়া করতে পারছে না।
মা রিতা খাতুন জানান, বাসাবাড়ির মধ্যে ছোট্ট একটি কুড়ে ঘর ও একটি রান্না ঘর আছে। রাকিবের বাবার ছেলেকে পড়ানোর ক্ষমতা নেই। গরিব মানুষ বলেই কি তার ছেলে রাকিব জিপিএ-৫ পেয়েও টাকার অভাবে লেখাপড়া করতে পারবে না ?
রাকিব জানায়, আমরা দুই ভাই। বাবার যা আয় হয় তা দিয়ে কোনোভাবে আমার লেখাপড়া করানো সম্ভব না। টাকার অভাবে ঝিনাইদহ শহরের কেসি কলেজে ভর্তি হতে পারছি না। আমার প্রবল ইচ্ছা লেখোপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হয়ে দেশ ও জনগণের পাশে দাঁড়াব ইনশাল্লাহ।
আহমেদ নাসিম আনসারী/এসএস/এমএস