মাদারীপুরে কলেজ শিক্ষককে কুপিয়ে জখম

মাদারীপুরের সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

আহত রিপন চক্রবর্তী বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বিল্ব গ্রামের বাসিন্দা রবীন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর ছেলে। অপরদিকে, আটক ফাইজুল্লাহ ফাহিম চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জের দীঘিয়াপাড় গ্রামে বাসিন্দা।

আহত রিপন চক্রবর্তীকে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থা বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সোবহান মুন্সী জানান, শিক্ষক রিপন চক্রবর্তী দীর্ঘদিন ধরে কলেজগেট এলাকায় ছোট একটি কক্ষে ভাড়া থাকেন। দুপুরে কলেজ থেকে ফিরে শিক্ষক তার কক্ষে অবস্থান করছিলেন। এসময় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কলিংবেল চাপে তিন যুবক। তিনি দরজা খুললে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারা। এসময় তার চিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হলে তারা পালানোর চেষ্টা করে।

এলাকাবাসী একজনকে আটক করেন। বাকি দুজন পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত ওই শিক্ষককে স্থানীয়রা প্রথমে সদর হাসপাতালে নেন। পরে তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তাকে ঢাকায় নেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

নাজিমউদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ হিতেন চন্দ্র মন্ডল বলেন, প্রাথমিকভাবে আক্রমণের ধরন দেখে জঙ্গি হামলার মত মনে হয়েছে।

সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ জানান, শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। গুপ্তহত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছন।

এআরএ/এমএস