দশমিনায় দুটি লঞ্চঘাট নদী গর্ভে বিলীন
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর তাণ্ডবের পর থেকেই পটুয়াখালীর দশমিনার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া লঞ্চঘাট এবং সদর ইউনিয়নের হাজিরহাট লঞ্চঘাট তেঁতুলিয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার আশেপাশের আবাদি-অনাবাদি ও বসতঘর নদীর ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে। বাঁশের অস্থায়ী পাইলিং দিয়েও লঞ্চঘাট দুটিকে নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। নদীর অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার নদীর তীর রক্ষা বাঁধের ১২ কিলোমিটারের মধ্যে ৮ কিলোমিটার ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। অবশিষ্ট রক্ষাবাঁধ এখন হুমকির মুখে রয়েছে।
দশমিনার ইউনিয়নের জসিম উদ্দিন সিকদার বলেন, উপজেলার প্রধান ২টি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গের পানি বৃদ্ধি এবং প্রবল চাপের কারণে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর তাণ্ডবের পর থেকেই উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব বাঁশবাড়িয়া, ঢনঢনিয়া, সদর ইউনিয়নের হাজিরহাট, গোলখালী, আরজবেগীর বিভিন্ন এলাকায় নদীর ভাঙনের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের জহিরুল মৃধা বলেন, ভাই আমাগো লঞ্চঘাট নাই অনেক কষ্ট (অয়) হয়। এই লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চে (ওডোন) ওঠা যায় না। সরকারের কাছে অনুরোধ আমাগো লঞ্চঘাটটা ঠিক কইরা (দেক) দিক।
তবে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতার কারণে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি এলাকাবাসীর। নদী ভাঙন রোধকল্পে স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে আবেদন নিবেদন করেও কোন সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী।
এসএস/এবিএস