ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক এখন বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি

প্রকাশিত: ১০:১০ এএম, ০১ জুন ২০১৬

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকে মানুষের মাঝে জাগরূক রাখতে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রাখা হয়েছে।

বুধবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনের আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

পলক বলেন, যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কেরও নাম পরিবর্তন করে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে রাখা হয়েছে এবং পরবর্তীতে আরও যেসব ট্রেনিং সেন্টার হবে তা ক্রীড়া সংগঠক শেখ কামালের নামে হবে।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমোদন সাপেক্ষে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনকের নামে এই পার্কের নাম রাখতে পেরে আমরা গর্বিত।

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ টেকনোসিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মইনুল হক, সামিট টেকনোপলিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদ খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি ড. মোখলেসুর রহমান ও বিডি ভেনচারের মো. সাখাওয়াত হোসেনসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির ৩৫৫ একর জমির মধ্যে ২৩২ একরকে পাঁচটি ব্লকে ভাগ করে বাংলাদেশ টেকনোসিটিকে ৩ নম্বর ব্লকে ৪০ একর এবং সামিট টেকনোপলিসকে ২ নম্বর ব্লকে ৬২ একর এবং ৫ নম্বর ব্লকে ২৯ একর জমিতে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ দেয়া হয়েছে।

এ দু’টি প্রতিষ্ঠান মোট ২৩৩ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে এবং এসব ব্লকগুলোতে মাল্টি টেন্যান্ট বিল্ডিং, শিল্প এলাকা, কনভেনশন সেন্টার, হোটেল, হেলিপ্যাড, শিল্প এলাকা, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ইত্যাদি নির্মাণ করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি হবে বিশ্বমানের এবং এটি হবে আইসিটি খাতের প্রাণ। এখানে উৎপাদিত হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হবে।

পলক বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি রফতানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নানা উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশে ১২টি হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে মাল্টিট্যানান্ট ভবনের ১ লাখ বর্গফুট ফ্লোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং নির্মিত ফ্লোর আইটি কোম্পানির মধ্যে বরাদ্দ প্রদানের কাজ চলছে।

এছাড়াও রাজশাহীতে ‘বরেন্দ্র সিলিকন সিটি’, নাটোরে আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, সিলেটে সিলেট ইলেক্ট্রনিক সিটি, মহাখালী আইটি ভিলেজ এবং বিভাগীয় পর্যায়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।

পলক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বিনোয়োগের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ট্যাক্স হলিডেসহ বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার। পার্কটি নির্মিত হলে এখানে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

প্রতিমন্ত্রী পরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বাংলাদেশ টেকনোসিটির অবকাঠামো উন্নয়ন ও সামিট টেকনোপলিসের সিগনেচার বিল্ডিং ও ম্যানুফ্যাকচারিং বিল্ডিং-এর নির্মাণ কাজ ঘুরে দেখেন।

এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে টিয়ার-৪ ডাটা সেন্টারের অবকাঠামো উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির ডেডিকেটেড রেল লাইন নির্মাণসহ সামগ্রিকভাবে কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

একে/এমএস

আরও পড়ুন