পাওনা টাকা চাওয়ায় দোকানিকে হত্যা, মরদেহ নিয়ে সড়কে বিক্ষোভ

পাওনা টাকা চাওয়া কেন্দ্র করে ঝিনাইদহে এক দোকানিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় লাশ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন স্বজনরা। সদর উপজেলার ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের উত্তর নারায়ণপুরে ত্রিমোহনী মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ঘটনার পরে সদর থানা-পুলিশ মামলা নিতে টালবাহানা করছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে সড়ক অবরোধ করে লাশ নিয়ে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছে। এসময় সড়কের দুইপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্থানীয় বাদপুকুর গ্রামের মুদি দোকানি মোহাম্মদ আলীকে (৬০ পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ আলী সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের বাদপুকুর গ্রামের মৃত কেনু মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- অভিযুক্ত আসাদুল ইসলাম (১৯), তার বাবা আশকর আলী (৬২) ও আশকর আলীর স্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য আসাদুল ইসলামের কাছে যান মুদি দোকানি মোহাম্মদ আলী। ওই সময় আসাদুল ইসলাম ও তার বাবা আশকর আলী ও আশকর আলীর স্ত্রী মিলে মোহাম্মদ আলীকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে মোহাম্মদ আলী ডাক-চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা এসে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান মোহাম্মদ আলী।
এদিকে ঘটনার পরে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সদর থানা-পুলিশ হত্যা মামলা নিতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নিহতের স্বজনরা। তারা জানিয়েছেন, দুপুর থেকে মামলা দায়েরের চেষ্টা করলেও পুলিশ নানান অজুহাত দেখিয়ে মামলা নিচ্ছে না। যে কারণে নিহতের স্বজনরা রাতেই লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছে।
বিজ্ঞাপন
নিহতের ছেলে মশিয়ার রহমান বলেন, পাওনা টাকা চাইতে গেলে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা যেন মামলা না করি, তার জন্য নানা রকম চাপ দেওয়া হচ্ছে। থানায় গিয়ে মামলা দায়েরের চেষ্টা করলেও পুলিশ গড়িমসি করে মামলা নেয়নি।
সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা না নেয়ার কোনো কারণ নেই। তারা মামলা নিয়ে এলে এজাহার সংশোধন করতে বলা হয়েছে। এরপর আর তারা আসেনি।
লাশ নিয়ে সড়ক আটকে বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, বিক্ষোভ কেন করছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলা না নেয়ার মতো কিছু নেই। অবশ্যই মামলা নেবে পুলিশ। তারপরও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
বিজ্ঞাপন
শাহজাহান নবীন/এসএএইচ
বিজ্ঞাপন