রাজবাড়ীতে বৈকালীন চেম্বার বন্ধ, হতাশ রোগীরা

রাজবাড়ীতে গত কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বা বৈকালীন চেম্বার। ফলে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প খরচে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। এ অবস্থায় পুনরায় বৈকালীন চেম্বার চালুর দাবি জানিয়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
সেবার মান বাড়াতে ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালসহ সারাদেশের ৫১টি সরকারি হাসপাতালে বৈকালীন চেম্বার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তৎকালীন সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এরপর থেকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে রোস্টার অনুযায়ী ৯ বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সপ্তাহে দুদিন করে ছুটির দিন বাদে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রোগী দেখে আসছিলেন। এসময় রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধার জন্য খোলা রাখা হতো হাসপাতালের প্যাথলজি, এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগ।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার ১২-১৪ লাখ বাসিন্দার স্বাস্থ্যসবার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল। হাসপাতালের আউটডোরে গড়ে প্রতিদিন এক হাজার থেকে ১৩০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। এরমধ্যে নতুন রোগী থাকে ৭০০-৮০০ জন। তবে বৈকালীন চেম্বার বন্ধ হওয়ায় গরিব ও অসহায় রোগীরা স্বল্প খরচে চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
- আরও পড়ুন
- সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসার ফি নির্ধারণ
- ঢিমেতালে চলছে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা
- বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে জানেন না অনেকেই
আলিম উদ্দিন নামের একজন রোগী বলেন, ‘আমরা বিকেলে এসে অল্প টাকায় ভালো ডাক্তার দেখাতে পারতাম কিন্তু এখন সেটা পারছি না। আমরা গরিব মানুষ। বাইরে বেশি টাকা ফি দিয়ে ডাক্তার দেখানোর সামর্থ্য নেই। পুনরায় এই সেবা চালু হলে আমাদের জন্য খুব উপকার হবে।’
বিজ্ঞাপন
রোগীর স্বজন ইফসুফ মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘বৈকালীন স্বাস্থ্যসেবা চালুর কথা থাকলেও রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে আমরা সেই সেবা পাচ্ছি না। ডাক্তার দেখাতে এসে দেখি সব বন্ধ। চার্ডে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে বৈকালীন সেবা বন্ধের নোটিশ। এখন এই হাসপাতালে কোনো চিকিৎসা পাই না। রোগী নিয়ে এলেই ফরিদপুরে রেফার করে।’
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ হান্নান বলেন, বৈকালীন সেবা এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তবে ৫ আগস্টের পর থেকে চিকিৎসকরা এই সেবা দিতে আগ্রহ হারিয়েছে ফেলেছেন। যে কারণে চিকিৎসকরা কিছুটা অনিয়মিত।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, মূলত সেবা দেওয়া চিকিৎসকরা বলছেন, দেশের অন্য কোনো জেলায় এ সেবা চালু না থাকায় তারাও সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই সেবা আর দিতে চান না। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতামত চেয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি।
রুবেলুর রহমান/এসআর/জিকেএস
বিজ্ঞাপন