ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০৩:৫৮ এএম, ১০ এপ্রিল ২০২৫

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত ১০ টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

বুধবার(৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জাহিদ মাতুব্বর ও নুরু মাতুব্বরের পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রুপ নেয়। তবে প্রাথমিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ওই এলাকার নুরু মাতুব্বর ও জাহিদ মাতুব্বর গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। বর্তমানে নুরু মাতুব্বর বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থাকায় এই পক্ষের নেতৃত্ব দেন তার ভাই উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসুর মাতুব্বর। এই বিরোধের জেরে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ঢাল-সড়কি, রামদা, ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে নুরু মাতুব্বরের সমর্থক নান্নু মাতুব্বরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙ্গে লুটপাট করে প্রতিপক্ষরা। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ব্যাপারে নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করা জাহিদ মাতুব্বর বলেন, ২০১৮ সালে শামা ওবায়েদ রিংকু (বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক) আপার গাড়িতে হামলা করে আওয়ামী লীগের দোসররা। এখন তারাই আবার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বুধবার বিকেলে বাজারের ইলেকট্রিক্যাল ব্যবসায়ী আমার সমর্থক মামুন শেখকে (৩৬) মারধর করে। এর জের ধরেই মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আমার পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে মুনসুর মাতুব্বর দাবী করে বলেন, আমরা বিএনপির রাজনীতি করি। আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে আমাদের মারামারি হয়েছে। জাহিদ মাতুব্বর লাবু চৌধুরীর (সাবেক এমপি) লোক। বিগত দিনে ওদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ ছিলাম। বিকেলে বালিয়া গ্রামের সবুর খাঁকে প্রথমে মারধর করে ওরা। এ ঘটনায় আমাদের পক্ষের অনেক লোক আহত হয়েছেন।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় দুই পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এনকেবিএন/এএমএ

বিজ্ঞাপন