ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সালিশ বৈঠকে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা, ইবি ছাত্র গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি | কুমিল্লা | প্রকাশিত: ০২:২৭ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২৫

কুমিল্লার লালমাইয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সালিশ বৈঠকে হাবিবুর রহমান (৬০) নামে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এর আগে সোমবার বিকেলে উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের হাতিলোটা গ্রামে সালিশ বৈঠকে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃদ্ধ হাবিবুর রহমানের মৃত্যু হয়।

নিহত হাবিবুর রহমান উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের হাতিলোটা গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় শংকুরপাড় দিঘীর নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করতেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার আবদুল্লাহ আল মামুন (২৩) হাতিলোটা গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে হাতিলোটা গ্রামের হাবিবুর রহমানের সঙ্গে আবদুল জলিলদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সোমবার সকাল ১০টায় আবদুল জলিলদের উঠোনে সালিশ বৈঠকে বসেন স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল হোসেন খোকন ও গ্রাম সর্দার সালামত উল্যাহসহ উভয় পক্ষের সালিশদাররা। বৈঠকে কথা কাটাকাটিরি এক পর্যায়ে বিকেল ৩টায় আবদুল জলিলের ছেলে কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন লাঠি দিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনদের পেটাতে শুরু করেন।

বিজ্ঞাপন

এসময় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাবিবুর রহমান অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে উপস্থিত সবাই তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৫টায় হাবিবুর রহমানের মৃত্যু হয়।

নিহতের মেয়ে মায়া আক্তার বলেন, আবদুল জলিলরা আমাদের জমি দলিল করে নিয়ে গেছে। সেই জমি ফেরত আনতে সালিশ বৈঠক বসে। শত শত মানুষের সামনে আমার বাবাকে আবদুল্লাহ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শাকিল হোসাইন বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান আসামি আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের আটকে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/জেআইএম

বিজ্ঞাপন