ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

২১ বছর পর চাকরি ফিরে পেলেন কলেজ শিক্ষক

উপজেলা প্রতিনিধি | ঈশ্বরদী (পাবনা) | প্রকাশিত: ০২:৩৪ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২৫

দীর্ঘ ২১ বছর পর চাকরি ফিরে পেলেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আজমল হোসেন সুজন। তিনি উপজেলার দাশুড়িয়া ডিগ্রি কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক পদে পুনর্বহাল হয়েছেন।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে দাশুড়িয়া ডিগ্রি কলেজের তৎকালীন কলেজ পরিচালনা কমিটি ও কলেজের অধ্যক্ষ কলেজে ৯ দিন বিলম্বে উপস্থিত হওয়ার কারণ দেখিয়ে আজমল হোসেন সুজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন। পরবর্তীতে এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক ও আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেও আজমল হক সুজন চাকরি ফিরে পাননি। ২১ বছর পর তিনি পুনরায় এ বিষয়টি তদন্তের জন্য বর্তমান পরিচালনা কমিটির (গভর্নিং বডি) কাছে আবেদন করেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

পরিচালনা কমিটি এ বিষয়ে তদন্ত ও পর্যালোচনার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা কলেজে এসে এ বিষয়টি তদন্ত করেন। আজমল হক সুজনের কোনো ভুল বা দোষ না থাকায় তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। একইসঙ্গে বিগত ২১ বছরের বেতন ও অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধের নির্দেশ দেন।

প্রভাষক আজমল হোসেন সুজন জাগো নিউজকে জানান, অত্র কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের ও তৎকালীন পরিচালনা কমিটি মিথ্যা অজুহাতে আমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিলেন। ২১ বছর পর সত্য উন্মোচিত হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা তদন্ত করে আমার কোনো ভুল-দোষ খোঁজে পাননি। তাই তারা আমাকে এ পদে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন। আমি এরইমধ্যে যোগদান করেছি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

দাশুড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজমল হোসেন সুজনকে তার স্বপদে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে। আজমল হোসেন স্বপদে যোগদান করেছেন।

তাকে কেন প্রভাষকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল এ ব্যাপারে তিনি জানান, তৎকালীন কলেজ পরিচালনা কমিটি ও অধ্যক্ষ তাকে বরখাস্ত করেছিলেন। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

বিজ্ঞাপন

কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব জাগো নিউজকে জানান, আজমল হোসেন সুজন একজন দক্ষ গণিত শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ও প্রচারণা ছড়িয়ে অন্যায়ভাবে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। দীর্ঘ ২১ বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা তদন্ত করে আজমল হোসেন সুজনের কোনো ভুল ও দোষ পাননি। তাই তাকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য নির্দেশ প্রদান করে পত্র পাঠিয়েছেন।

শেখ মহসীন/এফএ/জেআইএম

বিজ্ঞাপন