ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সমাজসেবার সহায়তা বন্ধ, লেখাপড়া অনিশ্চিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শরিফের

জেলা প্রতিনিধি | ঠাকুরগাঁও | প্রকাশিত: ০২:৫৭ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২৫

সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতা বন্ধ হওয়ায় শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শরিফের। শরিফ ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। এতদিন সমাজসেবা অধিদপ্তরের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে পড়ালেখা চালিয়ে এলেও সম্প্রতি এক চিঠির মাধ্যমে তাকে প্রতিষ্ঠান ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে সহায়তা বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে শরিফের পরিবার।

শরীফের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গোবিন্দনগর মুন্সিহাট গ্রামে। তার বাবা রমজান আলী একজন দিনমজুর। শরীফ জানান, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষাকার্যক্রম থেকে তার পড়াশোনার যাবতীয় খরচ বহন করা হতো। তবে সম্প্রতি অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রিসোর্স শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামানের সই করা একটি চিঠি তার বাবার কাছে পাঠানো হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

চিঠিতে ভর্তি ফরমের তথ্য অনুযায়ী গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ায় শরিফকে প্রতিষ্ঠান ছাড়তে বলা হয়।

শরীফের দাবি, বয়স যাই হোক এসএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত এ কার্যক্রমের আওতায় থাকার নিয়ম রয়েছে। এর আগে এইচএসসি শিক্ষার্থীরাও এখানে অবস্থান করেছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন তাকে ব্রেইল বই দেওয়া হয়নি এবং এ নিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করায় তাকে বিতাড়িত করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে শরীফের গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, শরীফ ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করছে। ওর পরিবার খুবই গরিব। এখন যদি প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া হয়, তাহলে ওর পড়াশোনা শেষ হয়ে যাবে। এটা অন্যায়।

স্থানীয় রুবিনা খাতুন বলেন, শরীফ অনেক মেধাবী ছেলে। ওর এসএসসি পরীক্ষা সামনে। এই অবস্থায় বের করে দেওয়া হলে ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যাবে। আমরা চাই, অন্তত পরীক্ষা পর্যন্ত তাকে সুযোগ দেওয়া হোক।

বিজ্ঞাপন

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষাকার্যক্রমের রিসোর্স শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জানান, বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী শরীফকে প্রতিষ্ঠান ছাড়তে বলা হয়েছে। তবে সে যদি আবেদন করে তাহলে পরবর্তী মিটিংয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে এবং মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তানভীর হাসান তানু/এমএন/জিকেএস

বিজ্ঞাপন