ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সুস্থ বাবাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করলো সন্তানরা!

প্রকাশিত: ০৩:২১ পিএম, ২৪ মে ২০১৬

নেত্রকোনায় সুস্থ ব্যক্তিকে অসুস্থ বানিয়ে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন আব্দুর রহমান।

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কাশিগঞ্জ বাজারের আবুল কাশেম মাস্টারের মেয়ে তাসকিন আক্তার স্বাক্ষরিত অভিযোগে জানা যায়, তার স্বামী নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার লামছড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের পেনশনের টাকা, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি আত্মসাৎ করার চক্রান্তে আগের তরফের ছেলে মেয়েরা আব্দুর রহমানকে নেত্রকোনার একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করে।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আব্দুর রহামান অসুস্থ বা কোনো প্রকার মানসিক রোগী নয়। কেন তাকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করে রাখা হয়েছে সে বিষয়টি আব্দুর রহমানের এলাকাবাসী কিংবা বাড়ির লোকজনও জানেন না।

এলাকাবাসী জাগোনিউজকে জানান, আব্দুর রহমান একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও কর্মঠ মানুষ, তার শারীরিক বা মানসিক কোনো প্রকার রোগ নেই।

এ ব্যাপারে আব্দুর রহমানকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র হতে মুক্ত করে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী তাসকিন আক্তার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, তার পেনশনের টাকা নিতে আগের তরফের সন্তানেরা কিছুদিন যাবৎ চাপ দিচ্ছিল। গত ২০ মে পূর্বধলায় তার মেয়ে বাসায় বেড়াতে গেলে সেখান থেকে তাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের গাড়িতে উঠিয়ে নেত্রকোনায় মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

এদিকে আব্দুর রহমানের ছোট ছেলে সালেহীন জাগো নিউজকে জানান, তার বাবা এক মহিলার খপ্পরে পড়ে অর্থ সম্পদ নষ্ট করছেন দেখে তার বাবাকে অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে।

এদিকে তার স্ত্রী তাসকিন আক্তার জাগো নিউজকে জানান, আব্দুর রহমানের আগের স্ত্রী অসুস্থ থাকার চার বছর পূর্বে আব্দুর রহমানের ছেলে-মেয়ে ও মেয়ের জামাতা স্বাক্ষর করে তাকে আব্দুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে দেন। এখন তার স্বামীর পেনশনের টাকাসহ সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য তার স্বামীকে গোপনে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করিয়েছে।

গত রোববার নেত্রকোনা জেলা পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আব্দুর রহমানকে ওই মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে মুক্ত করে বিশকাকুনী ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের জিম্মায় মুক্তি দেয়া হয়েছে।

কামাল হোসাইন/এমএএস/আরআইপি