স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালালেন স্বামী

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রিক্তা বেগম (২৯) নামে এক নারীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে স্বামী জাকির মোল্লা পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিক্তা বেগম উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের পাঁচকুল গ্রামের আজিজ শিকদারের মেয়ে। তার স্বামী জাকির মোল্লা পার্শ্ববর্তী দীঘলকান্দা গ্রামের আনোয়ার মোল্লার ছেলে। বুধবার রাত ৮টার দিকে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ পান। পরিবারের অভিযোগ, রিক্তাকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছেন। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
নিহতের বোন হাফিজা আক্তার জানান, প্রায় ১২ বছর আগে রিক্তার সঙ্গে জাকির মোল্লার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর জাকির মোল্লাসহ তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় রিক্তাকে নির্যাতন করতেন। সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে তারা রিক্তাকে মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে ঘরে আটকে রাখেন। পরে ওইদিন প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে গোপনে রিক্তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়। রিক্তা মারা যাওয়ার পর তার মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে তার স্বামীসহ পরিবারের সবাই পালিয়ে যান।
হাফিজা আক্তার বলেন, আত্মগোপনে থেকে মঙ্গলবার দুপুরে জাকির মোল্লা আমাদেরকে মোবাইল ফোনে জানান, রিক্তা বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। আমাদের ফরিদপুর হাসপাতালে আসতে বলেন। আমরা ফরিদপুর মেডিকেলে গিয়ে রিক্তার মরদেহ দেখতে পাই। রিক্তার শরীরের পেট, মাথা, হাত, কানসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ আমার বোনকে জাকির ও তার পরিবারের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করছে। আমরা এর বিচার দাবি করছি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে জাকির মোল্লা ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রজিৎ মল্লিক বলেন, বুধবার বিষয়টি জানতে পেরেছি। এলাকায় পুলিশ পাঠানো হবে। এছাড়া এ বিষয়ে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
এন কে বি নয়ন/এমএন/জেআইএম
বিজ্ঞাপন